আন্তর্জাতিক

১১২ বছর বয়সে মারা গেলেন বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি

১১২ বছর বয়সে মারা গেলেন বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি জন আলফ্রেড টিনিসউড। গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের সাউথপোর্টে একটি বৃদ্ধাশ্রমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবার জানিয়েছে, তার জীবনের শেষ দিনটি ছিল সংগীত এবং ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।

Advertisement

১৯১২ সালের ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন টিনিসউড। ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের প্রবীণতম ব্যক্তি এবং ২০২৪ সালে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পান তিনি। ২০২৪ সালের এপ্রিলে হুয়ান ভিসেন্টে পেরেজের মৃত্যু হলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কাছ থেকে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তির স্বীকৃতি অর্জন করেন টিনিসউড।

টিনিসউডের পরিবার জানিয়েছে, তিনি ছিলেন বুদ্ধিমান, সাহসী এবং চমৎকার এক ব্যক্তিত্ব। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রয়্যাল আর্মি পে কর্পসে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রয়্যাল মেইল এবং পরে শেল ও বিপি-তে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করেন টিনিসউড।

আরও পড়ুন>>

Advertisement

ঘণ্টায় ১৫৭৫ পুশ আপ দিয়ে রেকর্ড বৃদ্ধার আড়াই বছর বয়সেই বিশ্বরেকর্ড মারা গেলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় বন্দি কুমির, বয়স ১১০ বছরের বেশি

অবসরের পর ব্লান্ডেলস্যান্ডস ইউনাইটেড রিফর্ম চার্চে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতেন এবং মাঝে মাঝে ধর্মীয় বক্তৃতাও দিতেন। দীর্ঘায়ুর রহস্য সম্পর্কে তিনি বলতেন, আপনি হয় দীর্ঘজীবী হবেন বা স্বল্পজীবী, এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

টিনিসউড আজীবন লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের ভক্ত ছিলেন। ক্লাবের প্রায় সব সাফল্যের সাক্ষী ছিলেন তিনি।

স্ত্রী ব্লডউইনের সঙ্গে ১৯৪২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন টিনিসউড। একমাত্র মেয়ে সুসান এবং চার নাতি-নাতনি ও তিন প্রপৌত্র রেখে গেছেন তিনি।

টিনিসউডের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ‘এজ ইউকে’ অথবা কোনো দাতব্য সংস্থায় দান কারর আহ্বান জানানো হয়েছে।

Advertisement

পুরুষদের মধ্যে এযাবৎকালে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘায়ুর রেকর্ডধারী ছিলেন জাপানের জিরোমন কিমুরা। ২০১৩ সালে ১১৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। বর্তমানে বিশ্বের প্রবীণতম নারী ও প্রবীণতম মানুষ জাপানের তমিকো ইতোওকা। তার বয়সও ১১৬ বছর।

সূত্র: বিবিসিকেএএ/