বায়ু দূষণসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ফুসফুসের সমস্যায় ছোট-বড় অনেকেই ভুগছেন। জানলে অবাক হবেন, বর্তমানে ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত বিশ্বের প্রায় ৬৫ মিলিয়ন মানুষ। দেহের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে টক্সিন জমার কারণে এক সময় আর কাজ করতে পারে না। তখনই দেখা দেয় নানা সমস্যা।
Advertisement
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বাড়েছে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাও। এ কারণে দেহের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের যত্ন নিতে শুরু করুন এখন থেকেই। নিজেকে মেরামত করার জাদুকরী ক্ষমতা আছে ফুসফুসের। এ কারণে ধূমপান ছেড়ে দিলে ধীরে ধীরে ফুসফুস নিজ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠে।
তবে প্রতিদিনের দূষণ অজান্তেই ফুসফুসের ক্ষতি করছে। এ কারণে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করে আপনি সহজেই ফুসফুসকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবেন। জেনে নিন করণীয়-
মুখের স্বাস্থ্যের যত্ন নিনফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মুখের স্বাস্থ্যেরও যত্ন নিতে হবে। এজন্য দাঁত ব্রাশের পাশাপাশি জিহ্বাও পরিষ্কার করতে হবে। কারণ জিহ্বাতেই ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে বেশি। যা সহজেই দেহের ভেতরে প্রবেশ করে।
Advertisement
ডিটক্স ওয়াটার ফুসফুস পরিষ্কারের ক্ষেত্রে দারুন কাজ করে। এই পানীয়ের মাধ্যমে ২-৩ সপ্তাহ কিংবা এক মাসের মধ্যেই আপনি ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারেন।
এক্ষেত্রে মধু ও গরম পানি, লেবুর শরবত, সবুজ চা, গাজরের রস, হলুদ ও আদার মিশ্রণ, কলা-পালং শাক ও বেরির পানীয় ফুসফুসের শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন
এক পায়ে দাঁড়ালেই বুঝবেন হার্ট ভালো আছে কি না?বিয়েতে খরচ যত কম, সংসার টেকে বেশিদিন: গবেষণা হ্যালোথেরাপি নিনলবণ থেরাপিও এক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী। একে হ্যালোথেরাপি বলা হয়। হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস ও কাশির মতো ফুসফুসের সমস্যার বিকল্প চিকিৎসা এটি।
Advertisement
ওরিগানো অয়েলের সঙ্গে আমন্ড অয়েল সমপরিমাণ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি জিহ্বার নিচে মাত্র ১-২ ফোঁটা নিন। তারপর ৩-৫ মিনিট ধরে রাখুন। পরে কুলকুচি করে ফেলুন। টানা এক মাস দৈনিক ৩ বার করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ফুসফুস অনেকটাই পরিষ্কার হবে ও স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটবে।
গরম পানিতে গোসল করুনসপ্তাহে অন্তত ৩ বার গরম পানিতে গোসল করুন কিংবা স্টিম বাথ নিন। তবে তাপমাত্রা ৯০-১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যেই রাখতে হবে।
শ্বাসের ব্যায়াম করুনশ্বাসের ব্যায়াম করুন ফুসফুস ভালো রাখতে। ফুসফুসকে প্রাকৃতিক উপায়ে পরিষ্কার করতে কয়েকটি ব্যায়াম করাও জরুরি। এই ব্যায়ামগুলো ফুসফুসের বন্ধ কোষগুলোকে খুলে দেয়। ফলে বায়ু চলাচল উন্নত হয়।
এটি করতে আপনার ঘাড় ও কাঁধের পেশি শিথিল করুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিয়ে মুখ বন্ধ রাখুন। খুব গভীর শ্বাস নেবেন না। এবার আপনার ঠোঁট পাউট করে ৪ পর্যন্ত গণনা করে তারপর ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। কৌশলটি দিনে ৪-৫ বার অনুশীলন করুন।
মসলাদার খাবার বাদ দিনমসলাদার খাবার বাদ দিতে হবে। কিছু খাবার যেমন- পনির, মাখন, দই, দুগ্ধজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদি ফুসফুসের শ্লেষ্মা বাড়িয়ে দেয়। এসব খাবার এড়িয়ে চলুন
সূত্র: ব্রাইট সাইড
জেএমএস/জেআইএম