বাংলাদেশের পর এবার শ্রীলঙ্কা। আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎ চুক্তি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিলো দ্বীপরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত বাম সরকার। শ্রীলঙ্কার আগের সরকারের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে শ্রীলঙ্কার নবগঠিত মন্ত্রিসভা। এমনটাই জানিয়েছেন সে দেশের সিলোন ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের মুখপাত্র ধনুষ্কা পরাক্রমসিঙ্ঘে।
Advertisement
তিনি জানান, আদানি গোষ্ঠীর ওই বিদ্যুৎ প্রকল্পে খরচ কতটা হবে, সেটি পরিবেশের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে, এই সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কার মান্নার ও পুনেরিনে বায়ুশক্তি কেন্দ্রগুলো তৈরি করা হচ্ছিল। চুক্তি বাতিল না-হলেও আপাতত এটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরাকুমার দিশানায়েকে।
শেখ হাসিনার আমলে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে হওয়া একটি চুক্তি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারও।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন একটি বন্দরকে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে আমেরিকার সরকারি সংস্থা ‘ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স করপোরেশন (ডিএফসি)।
Advertisement
সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখছে। গত নভেম্বরেই সংস্থাটি বন্দরের টার্মিনাল নির্মাণে ৫৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ডিএফসি নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে অর্থসাহায্য করে থাকে।
এমএসএম