ট্যানারি খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
Advertisement
তিনি বলেন, ট্যানারি খাত ঘুরে দাঁড়াবে এবং ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। এ খাতের উন্নয়নে সরকার, মালিক ও শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সাভারের হেমায়েতপুরে ট্যানারি শিল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে আয়োজিত কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম সচিব বলেন, বাংলাদেশের ট্যানারি ও লেদার গুডস শিল্পের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো, এই খাতের কাঁচামাল দেশেই উৎপাদিত হয়। প্রতিবছর কয়েক লাখ চামড়া উৎপাদিত হলেও সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করার অভাবে এর যথাযথ ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না। আধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চামড়ায় ভ্যালু অ্যাড করে এই খাতকে দেশের অর্থনীতিতে নেতৃত্বদানকারী খাতে রূপান্তরিত করা সম্ভব।
Advertisement
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ফাহমিদা আখতার বলেন, ট্যানারি শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য মালিক ও শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকার এ খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ন্যায়সঙ্গত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।
ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের (টিডব্লিউইউ) সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ট্যানারি শিল্পের সুরক্ষা ও উন্নয়নে সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি) দ্রুত কার্যকর করতে হবে। একই সঙ্গে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ নিশ্চিত করে এই খাতকে আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
কর্মশালায় শ্রমিক ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম-মহাপরিদর্শক এবং জিওটিএএন প্রকল্পের পরিচালক মো. মতিউর রহমান।
কেএসআর/
Advertisement