‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (২০ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানায়।
Advertisement
বৈঠকের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার যথাযথভাবে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করা হয়। ওই আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান, একজন সার্বক্ষণিক সদস্য এবং পাঁচজন অবৈতনিক সদস্য সমন্বয়ে মানবাধিকার কমিশন গঠনের বিধান রয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, একজন সার্বক্ষণিক সদস্য ও চারজন অবৈতনিক সদস্য তাদের স্বীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। মানবাধিকার কমিশনের অন্য একজন অবৈতনিক সদস্য পদত্যাগ করেন গত ২২ আগস্ট।
আরও পড়ুন
Advertisement
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা পদত্যাগ করায় কমিশনের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে শূন্যতার সৃষ্টি হয়। কমিশনে নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানের জন্য ওই আইনের ধারা ৭-এর অধীন জাতীয় সংসদের স্পিকারের সভাপতিত্বে একটি বাছাই কমিটি গঠনের বিধান রয়েছে। ওই বাছাই কমিটিতে স্পিকার মনোনীত একজন সরকারদলীয় এবং একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য মনোনয়নের বিধান রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে যাওয়ায় এবং ওই সংসদের স্পিকার পদত্যাগ করায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের জন্য বাছাই কমিটি সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা প্রয়োজন।
বতমান প্রেক্ষাপটে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের জন্য বাছাই কমিটির সভাপতির অবর্তমানে বা অনুপস্থিতিতে কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যদের সম্মতিতে যে কোনো সদস্য যেন সভায় সভাপতিত্ব করতে পারেন এবং শুধু কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা বাছাই কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে যেন এর কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ না হয় বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা না যায়, সে সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয় বলে জানানো হয়।
এমইউ/এমকেআর/এমএস
Advertisement