সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে অবরোধ চলাকালে ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দায়ী করে সংবাদ প্রকাশের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কলেজ শাখা ছাত্রদল।
Advertisement
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান এমদাদ ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের লক্ষ্যে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অবগত থাকলেও (ঐতিহাসিক বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী) কর্মসূচি চলাকালে একটি ট্রেন শিক্ষার্থীদের ওপর দিয়ে চালিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা লাফিয়ে জীবন বাঁচায়। এতে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সুযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে ট্রেন লক্ষ্য করে কিছু দুষ্কৃতকারী ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। যাতে কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল ব্যথিত।
তারা আরও উল্লেখ করেন, ঘটনাটি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দায়ী করে একতরফা সংবাদ প্রচার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল। সংবাদমাধ্যম জাতির আয়নাস্বরূপ জাতির সামনে সঠিক তথ্য প্রচার করবে- এমনটি প্রত্যাশা করে সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে সোমবার বেলা ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালীর আমতলী মোড় হয়ে রেলগেট ও আশপাশের সড়কে অবস্থান নেন। এতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সবদিক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে, শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধের কিছুক্ষণের মধ্যে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন মহাখালী রেলগেট ক্রস করে। সেসময় শিক্ষার্থীরা ট্রেনটি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইট-পাথর ছুড়তে শুরু করেন।
এতে বেশ কয়েকটি বগির জানালার কাচ ভেঙে যায়। শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইট-পাথরে নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। আহত ও রক্তাক্তদের ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিতুমীর শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এমন বিবৃতি এলো।
এএএইচ/জেডএইচ/
Advertisement