চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে ৮ আগস্ট। সেই হিসেবে তিনমাসেরও বেশি সময় ক্লাস করেছেন শিক্ষার্থীরা। অথচ এখনো এ বছরের সিলেবাসের পাঁচটি বই বাজারে মিলছে না। বই না পেয়ে ক্লাস ও লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে একাদশের শিক্ষার্থীদের।
Advertisement
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বইয়ের পাণ্ডুলিপি পরিমার্জন করতে দেরি এবং প্রকাশকদের গাফিলতিতে বইগুলো এখনো বাজারজাতকরণ করা যায়নি। আর প্রকাশকদের সঙ্গে চুক্তির কারণে বইগুলোর সফট কপি অনলাইনেও দিতে পারছে না জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এনসিটিবি সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার একাদশ শ্রেণির আবশ্যিক বাংলা সাহিত্য পাঠ, বাংলা সহপাঠ, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বইয়ের বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের পাণ্ডুলিপিতে কিছু সংশোধন ও পরিমার্জন আনা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির বাংলা বইয়ের পাঠ্যসূচি থেকে বাদ পড়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, দিলওয়ার ও মহাদেব সাহা। শেখ মুজিবের লেখা বায়ান্নর দিনগুলো’, জাফর ইকবালের ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’, দিলওয়ারের ‘মানুষ সকল সত্য’ এবং মহাদেব সাহার ‘শান্তির গান’ বাদ পড়েছে।
Advertisement
ইংরেজি বইয়ের কিছু অধ্যায় পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে এবং নম্বর বিভাজনেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এছাড়া বইয়ের পরিধিও বেড়েছে। গত বছর ইংরেজি বই ছিল ২৭ ফর্মার, এবছর হচ্ছে ৩৭ ফর্মার। সেজন্য বইয়ের দামও কিছুটা বেড়েছে। সেজন্য পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত করতে সময় লেগেছে। এতে শিক্ষার্থীদের বই পেতে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়েছে।
অবশেষে শিক্ষার্থীদের বইয়ের ব্যাপারে আশার কথা শুনিয়েছেন পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কেবএম রিয়াজুল হাসান।
তিনি বলেন, ১৫ দিন আগে আমরা প্রকাশকদের কাছে পাণ্ডুলিপি পাঠিয়েছি। এ সপ্তাহেই শিক্ষার্থীরা এসব বই পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পাঁচটি বইয়ের পাণ্ডুলিপিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেজন্য একটু দেরি হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা কবে নাগাদ এ পাঁচটি বই বাজারে পেতে পারেন জানতে চাইলে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বলেন, সোমবার (১৮ নভেম্বর) থেকেই শিক্ষার্থীরা বই কিনতে পারবেন বলে আশা করছি।
Advertisement
এএএইচ/জেডএইচ/