জাতীয়

আজিমপুরে ডাকাতি শেষে শিশু অপহরণ, র‌্যাবের নজরদারিতে বাবা

রাজধানীর আজিমপুরে বাসায় ডাকাতি শেষে আট মাসের শিশুকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় বাবা আবু জাফরকে নজরদারিতে রেখেছে র‌্যাব।

Advertisement

এ ঘটনায় এরই মধ্যে ফাতেমা আক্তার শাপলা নামে এক অপহরণকারী নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে শিশু আরিশা জান্নাত জাইফাকে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, শিশু জাইফার মায়ের সঙ্গে সম্প্রতি অপহরণ চক্রের প্রধান ফাতেমা আক্তার সম্পর্ক গড়ে তোলেন। শিশুটির মা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত। তিনি মন্ত্রণালয়ের বাসে যাতায়াতকালে কৌশলে ওই বাসে ওঠেন অপহরণকারী ফাতেমা। নানাভাবে অপহৃতের মায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে শিশুর মায়ের সঙ্গে সাবলেটে একই বাসায় থাকার পরিকল্পনাও করেন তারা।

Advertisement

আরও পড়ুনটাকা-স্বর্ণালংকারের সঙ্গে ফুটফুটে শিশুটিকেও নিয়ে গেলো দুর্বৃত্তরাসেই ফুটফুটে শিশুটিকে উদ্ধার করলো র‌্যাব, অপহরণকারী গ্রেফতার

ঘটনার দিন আজিমপুরে ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়িতে প্রবেশ করেন অপহরণকারী ফাতেমা আক্তার। এসময় কৌশলে ভুক্তভোগীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়।

এরপর ফাতেমার তিনজন সহযোগী ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। বাড়িতে থাকা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, প্রায় সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করেন। এরপর শিশু আরিশা জান্নাতকে অপহরণ করেন। শিশুটিকে রাখা হয় অপহৃতের মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ে। সেখান থেকে শুক্রবার রাতে র‌্যাব শিশুটিকে উদ্ধার করে।

গ্রেফতার ফাতেমার গ্রামের বাড়ি বগুড়া। তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত লালমাটিয়া মহিলা কলেজে পড়াশোনা করলেও তা শেষ করেননি। মা-বোনের সঙ্গে থাকতেন মোহাম্মদপুরের আদাবরে নবীনগর হাউজিংয়ে।

র‌্যাব বলছে, অপহরণের ঘটনায় শিশুটির বাবাকে নজরদারিতে রেখেছে তারা। তিনি আনোয়ার খান মডার্ন ল্যাব সহকারী হিসেবে কর্মরত। স্ত্রীর সঙ্গে তার বনিবনা হয় না। এ কারণে শিশুটিকে তিনি অপহরণ করিয়েছেন কি না সেটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Advertisement

টিটি/ইএ/জেআইএম