‘কাপ্তাই লেকে কাটবে সাঁতার, ভয় করবে জয়, নিয়মিত কাটলে সাঁতার স্বাস্থ্য ভালো রয়’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে সুবলং চ্যানেল সুইমিং।
Advertisement
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সুবলং বাজার থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কাপ্তাই হ্রদের মোট ১৩.৫ কিলোমিটার পথ সাঁতরে পাড়ি দেবেন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বেঙ্গল ডলফিনস সাতারু দলের মোট ৩০ জন প্রতিযোগী। শহরের শহীদ মিনার ঘাটে এসে প্রতিযোগিতা শেষ হবে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নরসিংদী রানার্সের এডমিন সবুজ সিকদার বলেন, আমি একজন লং ডিস্টেন্স রানার এবং সুইমার। আমি সারাদেশে সুইমিং করে থাকি। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের মানুষের মধ্যে সাঁতারকে জনপ্রিয় করে তোলা। পাশাপাশি আমরা সাঁতার না জানার কারণে অকাল মৃত্যু রোধের জন্যও কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিযোগিতার একমাত্র নারী প্রতিযোগী মোছাম্মোৎ সোহাগী আক্তার বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে কাপ্তাই হ্রদে সাঁতারের ব্যাপারে এখানকার স্থানীয়দের মধ্যে অনেক ভয়-ভীতি রয়েছে। আমরা সেই ভয়কে দূরের লক্ষ্যে কাপ্তাই হ্রদকে এই প্রতিযোগিতার জন্য বেছে নিয়েছি। আমি নিজেও ৩ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছি।
Advertisement
রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম বলেন, আমি রাঙ্গামাটিতে যোগদান করার পর থেকেই সাঁতারকে জনপ্রিয় করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেই প্রচেষ্টা থেকেই আজকের আয়োজন। রাঙ্গামাটির শিশু কিশোররা যাতে কাপ্তাই হ্রদকে আর ভয় না পায় সেজন্যই আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাঁতারুরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। আমি আশা করছি সাঁতারের এই বিপ্লব রাঙ্গামাটির আনাচে কানাচে ছড়িয়ে যাবে।
প্রতিযোগিতা শেষে দুপুরে শহিদ মিনার চত্বরে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
সাইফুল উদ্দীন/এফএ/এএসএম
Advertisement