ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনী সেখানে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) এক টেলিগ্রাম পোস্টে তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা কুরস্কে রাশিয়ার ‘৫০ হাজার সশস্ত্র শত্রু’কে ‘অবরুদ্ধ’ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
Advertisement
গত আগস্টে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে আচমকা আক্রমণ চালায় ইউক্রেন। কিয়েভের দাবি ছিল, রাশিয়া এই অঞ্চলটি থেকে তাদের বিরুদ্ধে নতুন আক্রমণের পরিকল্পনা করছে এবং তারা সেই আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য একটি ‘বাফার জোন’ তৈরি করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন>>
ইউক্রেনে ঢুকে পড়েছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা এক সপ্তাহে রুশ বাহিনীর কাছে ৮৩ ইউক্রেনীয় সেনার আত্মসমর্পণ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষষ করতে চান জেলেনস্কিইউক্রেনের ওই আক্রমণ রাশিয়াকে সম্পূর্ণরূপে অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলে দেয়। ইউক্রেনীয় সেনারা রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষম হন এবং তারা এখনো সেখানে কয়েকশ বর্গমাইল এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
Advertisement
এদিকে, মার্কিন কর্মকর্তারা সিএনএনকে জানিয়েছেন, রাশিয়া কুরস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর আক্রমণের জন্য বিশাল সৈন্যবাহিনী প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে উত্তর কোরিয়ার সেনারাও উপস্থিত থাকতে পারে। যদিও ক্রেমলিন এই সৈন্যদের উপস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিছুদিন আগে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যা দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার ১১ হাজার সেনা এখন কুরস্কে উপস্থিত। তারা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্কের পাশাপাশি বেলগোরদ এবং ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডেও রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র: সিএনএনকেএএ/
Advertisement