ক্রীড়াঙ্গনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতার বহু নজির আছে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের মতো এমন চিরশত্রু হওয়ার উদাহরণ মনে হয় দ্বিতীয়টি নেই। ক্রীড়াঙ্গনের আলোচিত অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গেলেও ভারত কোনোভাবেই পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে খেলতে রাজি নয়।
Advertisement
ভারতের এমন সিদ্ধান্তের কারণে এখন অনিশ্চিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানের মাটিতে ওয়ানডে ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা থাকলেও এখন আয়োজন নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে যে পাকিস্তানে যাবে না ভারত, সেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল শুরু থেকেই। শেষমেশ সেটিই সত্যি প্রমাণিত হলো। গত শুক্রবার ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিসিসিআইয়) পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, রোহিত শর্মাদের পাকিস্তানে পাঠাতে সরকারের অনুমতি মেলেনি। তাই ভারত দল পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাবে না।
ভারত থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের। মানে হলো- ভারতের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে অন্য কোনো দেশে আয়োজন করা হোক। সেটা আরব আমিরাত ও শ্রীলঙ্কা হবে। তবে বিসিসিআইয়ের সেই প্রস্তাব নকচ করে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
Advertisement
প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়ে বিসিসিআইকে কারণ দর্শানোর দাবিও তুলেছে পিসিবি। অন্যান্য দেশ আসতে পারলে ভারত কেন পারবে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে বিসিসিআইয়ের কাছে।
নিরাপত্তা শঙ্কার অজুহাত তুলে ভারত নিজেদের অবস্থান জানানোর পর লাহোরে টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষণার অনুষ্ঠান বাতিল করে আইসিসি। সাধারণত আসর শুরুর ১০০ দিন আগে আইসিসি ইভেন্টের সূচি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, কোথায় হবে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে আইসিসিতে একটি চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পিসিবি। ভারতকে বাদ দিয়েই টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাবও আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইসিসিকে লক্ষ্য করে পিসিবির প্রছন্ন হুমকির কথাও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ভারত যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না যায়, তাহলে আগামীতে ভারত যে টুর্নামেন্ট খেলবে, পাকিস্তান ওই টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করবে বলেও একটি গুঞ্জন উঠেছে।
Advertisement
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ঠিকই ভারতের মাটিতে খেলতে গিয়েছিল। কিন্তু এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রে ভারতের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক বিশ্ব ক্রিকেটভক্তরা।
এমএইচ/এমএস