বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করেন হাফিজ আহমদ। এ মামলায় আপস করতে আদালতে হাজিরা দিতে যান তিনি। এসময় তাকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে কয়েকজন যুবক তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Advertisement
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল আদালত প্রাঙ্গণের সামনে থেকে থাকে তুলে নেওয়া হয়।
পরে আদালত প্রাঙ্গণে কয়েকজনের করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হাফিজ আহমদকে আদালত প্রাঙ্গণে থেকে ১০-১২ জন যুবক ধরে নিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় তুলেন। পরে তাদের সঙ্গে থাকা দুই যুবক ওই রিকশা করেই তাকে নিয়ে যান। এরপর তিনি আর আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২ সেপ্টেম্বর ৯৯ জনের নামোল্লেখ এবং ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করেন হাফিজ।
Advertisement
মামলার এক মাস ২০ দিন পর ২৩ অক্টোবর সুনামগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে কোনো কিছু জানি না, কোনো আসামিকে চিনি না।
শুধু তাই নয়, মামলাটি আপস হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি আসামিদের বিনাবিচারে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
এ বিষয়ে দ্রুত বিচার আদালত সোমবার তাকে তলব করেছিলেন। এ কারণেই তিনি মূলত আদালতে এসেছিলেন।
সুনামগঞ্জ জেলা বারের আইনজীবী নাজমুল হুদা বলেন, বাদী আদালতে এসেছিলেন। পরে শুনি, বারান্দা থেকে কয়েকজন যুবক তাকে জোর করে বের করে নিয়ে গেছে। কে বা কারা এটা করেছে, জানি না।
Advertisement
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমানসহ কয়েকজন জেল খেটেছেন।
লিপসন আহমেদ/জেডএইচ/এমএস