ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের অবরোধ তুলে দিয়েছেন পোশাকশ্রমিকরা। আজ সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে তারা এই অবরোধ প্রত্যাহার করেন। এরপর ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
Advertisement
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত শনিবার সকাল থেকে টানা তিন দিন এই অবরোধ চলে।
আজ সোমবার দুপুরের দিকে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ মিয়াসহ সেনাবাহিনী, র্যাব, শিল্প ও থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ইউএনওর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এইচ এম শফিকুজ্জামান শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের এ কথোপকথন মাইকে প্রচার করা হয়।
এসময় শিল্প সচিব শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের দায়িত্ব সরকার নিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আগামী রোববারের মধ্যে সরকারের উদ্যোগে ৬ কোটি টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে। অবশিষ্ট পাওনা টাকা পরিশোধের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের জন্য প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি বন্ধক রাখা হবে।
Advertisement
এসময় তিনি জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করেন। তার এ আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর আড়াইটার দিকে শ্রমিকরা মহাসড়কের অবরোধ প্রত্যাহার করেন। পরে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ইউএনও এরশাদ মিয়া আন্দোলনরত শ্রমিকদের ২৫/২৬ জনের এক প্রতিনিধিদল নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
ওই সময় শ্রমিকদের একটি অংশ অবরোধ তুলে নিলেও অপর একটি অংশ অবরোধের প্রতি অটল থাকেন। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও এক ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী চলে গেলে শ্রমিকরা ফের মহাসড়ক অবরোধ করেন।
রাতে ঢাকায় প্রশাসন, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের বৈঠকে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়। এ খবর অবরোধ করে রাখা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছালে আন্দোলনরত শ্রমিকরা রাত সাড়ে দশটার দিকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
মো. আমিনুল ইসলাম/কেএসআর
Advertisement