চলচ্চিত্র জগতের পরিচিত নাম পরীমনি। কাজ করেছেন অনেক সিনেমায়, এমনকি দেশীয় ওটিটিতেও। সব মাধ্যমেই প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। তবে গত দুই বছরে বেছে বেছে কম সংখ্যক কাজ করেছেন এ নায়িকা। তার চেয়ে বেশি উপভোগ করেছেন মাতৃত্ব। যা তার সামাজিক যোগযোগ্য মাধ্যমে বিচরণ করলেই টের পাওয়া যায়। তবে এবার মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে আবারও অভিনয়ে ব্যস্ত হয়েছেন পরীমনি।
Advertisement
আগামী ৮ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে তার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’। এই কাজের মুক্তি উপলক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলছেন পরী। সম্প্রতি এটিএন নিউজ এক অনুষ্ঠানে পরীমণির কাছে জানতে চাওয়া হয় জেলজীবন কী শিখেছেন?
জবাবে পরীমনি বলেন, ‘আমাকে পাঠানো হয়েছে জেলে। সেখানে গিয়ে আর কী ভালো কিছু শিখবো? দিলো তো সব নেশাখোরদের সঙ্গে থাকতে। (সেখানে) আমি প্রচুর গালিগালাজ শিখেছি। ওরা সারাক্ষণ এসবই করতো।’
জেলে থাকার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন পরীমন, ‘জেলে গিয়ে দেখেছি প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা গল্প। এমন অনেকে আছে, যারা ৪০ বারের বেশি জেলে গেছে। পুরো ভিন্ন এক জগত।’
Advertisement
‘কেউ কেউ মুখে ব্লেড নিয়ে ঘুরছে। প্রচুর গ্রুপিং হয়, বিচিং হয় সেখানে। জেলে সময় কাটানো খুব কঠিন। কোনো এক্টিভিটি নেই তো সেখানে। কতক্ষণ আর গল্প করা যায়! টাইম পাস করার জন্য অনেকে ইচ্ছা করেই ঝগড়া করতো। সেসব স্মৃতি লিখে রেখেছি।’
জেলে থাকার সময় অনেক বন্দির সঙ্গে পরীমনির ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘অনেকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হয়েছিল। যখন জেল থেকে বেরিয়ে আসছিলাম, সে সময় অনেকের মন খারাপ হয়েছে। বের হওয়ার সময় কান্নাকাটি করেছে গলা ধরে। দু’জন আবার ভীষণ খুশিও হয়েছে। তাদের মনোভাব ছিল, যা গেলে বাঁচি!’
২০২১ সালের ৪ আগস্ট প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে আটক করে র্যাব। তার বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে মাদক মামলায় পরীমনিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই সময় ২৬দিন কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে।
এমআই/এএসএম
Advertisement