শিক্ষা

এমপিওভুক্তির দাবিতে রাতেও রাস্তায় শুয়ে শিক্ষকদের অবরোধ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দেশের বেসরকারি কলেজের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির দাবিতে রাতেও রাজধানীতে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন। সেখানে অনেক শিক্ষিকাও অবস্থান করছেন।

Advertisement

বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা সেখানেই অবস্থান করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

জানা যায়, বুধবার বেলা ১১টা থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে আব্দুল গনি রোডে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান নেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজের শিক্ষকরা। দিনভর তারা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

প্রথম দিন আন্দোলন করে ফিরে গেলেও দ্বিতীয় দিন বুধবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও শিক্ষকরা ফিরে যাননি। একপর্যায়ে তারা সেখানে রাতে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন।

Advertisement

রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে যান শাহবাগ থানা পুলিশের একটি দল। দায়িত্বরত পুলিশের কর্মকর্তা শিক্ষকদের সেখান থেকে চলে যেতে অনুরোধ করেন। প্রয়োজনে বৃহস্পতিবার তাদের আবারও আন্দোলন করতে আসতে বলেন। রাতে সেখানে থাকলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কার কথাও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা পুলিশের কথা মানতে নারাজ। তারা রাতে সেখানে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশের কাছে তারা নিরাপত্তা দাবি করেছেন। এরপর পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনরত শিক্ষকদের একপাশে অবস্থান নিয়েছেন। আর শিক্ষকরা রাস্তায় শুয়ে দাবি আদায়ের স্লোগান দিচ্ছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, তারা প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার কাছ থেকে যথাযথ আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বেন না। তারা পুলিশ কর্মকর্তার কাছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার জন্য সহযোগিতা চান।

এর আগে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রথম দিন তারা আন্দোলন করেন। বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স ফেডারেশনের ব্যানারে এ কর্মসূচি করছেন তারা।

Advertisement

দাবি আদায়ের গড়ে ওঠা এ সংগঠনের সভাপতি নেকবর হোসেন জানান, সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১-এ জনবল অন্তর্ভুক্ত করেনি বা কোনো নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি। ফলে এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষক। বিনা বেতনে ৩২ বছর ধরে চাকরি করছেন এবং মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এএএইচ/এমআরএম