খেলাধুলা

জোড়া বিশ্বরেকর্ড গড়ে চা-বিরতিতে ভারত

কানপুরে যেন রানের বন্যা বইয়ে দিতে নেমেছে ভারত। টেস্টে দ্রুততম ফিফটি ও দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড করেছে রোহিত শর্মার দল। ৩ ওভারে দলীয় ফিফটি করেছে ভারত। যা এর আগে আর কোনো দল করতে পারেনি। গেল জুলাইয়ে ট্রেন্ট ব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪.২ ওভারে ৫০ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড।

Advertisement

এরপর ১০.১ ওভারেই ১০০ রানের কোটা পার করে দ্বিতীয় বিশ্বরেকর্ড করেছে ভারত। টেস্টে ৬১ বলে আর কোনো দল ১০০ রান করতে পারেনি। আগের রেকর্ডটি ছিল ভারতেরই। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২.২ ওভারের ১০০ করেছিল ম্যান ইন ব্লুজরা।

ভারতের নতুন রেকর্ডে মূল অবদান রেখেছেন যসস্বি জয়সওয়াল। ৩১ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে তিনিও করেছেন দারুণ এক রেকর্ড। টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করেছেন জয়সওয়াল।

চা-বিরতির আগে মারকুটে জয়সওয়ালকে আউট করেন হাসান মাহমুদ। টাইগার পেসারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৭২ রান করে ফেলেন ভারতীয় ওপেনার। খেলেন মাত্র ৫১ বল।

Advertisement

১৬ ওভারের খেলা শেষে ২ উইকেটে ১৩৮ রান করে চা-বিরতিতে যায় ভারত। শুভমান গিল অপরাজিত আছেন ৩৭ রানে আর ৪ রানে খেলছেন রিশাভ পান্ত। বাংলাদেশ থেকে এখন ৯৫ রানে পিছিয়ে আছে ভারত।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৩ রানের জবাবে শুরুতে উইলোবাজিতে মেতে ওঠেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও জসওয়াল। চতুর্থ ওভারে উড়তে থাকা রোহিতকে থামান মেহেদী হাসান মিরাজ। চতুর্থ বল পায়ে লাগলে রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে যান রোহিত। কিন্তু পরের বলে তাকে বোল্ডই করে দিলেন মিরাজ। ১১ বলে ২৩ রান করেন ভারতীয় ওপেনার।

আজ সোমবার ৩ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫ রান যোগ করেই আউট হন মুশফিকুর রহিম। ৬ রান নিয়ে খেলা শুরু করা ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরেছেন ১১ রান করেই। জাসপ্রিত বুমরাহর বল ব্যাট উঁচিয়ে ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন মুশফিক।

এরপর মুুমিনুল হক ও লিটন দাসের ব্যাটে এগোয় বাংলাদেশ। শুরুতে দারুণ কিছু শট খেললেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি লিটন। ৩ চারে মোট ১৩ রান (৩০ বলে) করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে মিডঅফে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ হন তিনি।

Advertisement

এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সিরাজের হাতে ক্যাচ হন সাকিব আল হাসান (১৭ বলে ৯)। ভারতীয় স্পিনারের আগের বলে চার মেরেছিলেন সাকিব। পরের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড-অফে ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে ক্যাচ হন টাইগার অলরাউন্ডার।

এক প্রান্তে মুশফিকুর, লিটন ও সাকিব উইকেট বিলিয়ে দিলেও অপর প্রান্ত আগলে রাখেন মুমিনুল। শেষ পর্যন্ত টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি হাঁকান বাঁহাতি ব্যাটার। দীর্ঘ ১৫ মাস পর তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করলেন ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটার। দেশের বাইরে এটি মুমিনুলের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। ২০২১ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে প্রথমবার শতক হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৯৪ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল।

৪২ বলে ২০ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বুমরাহর ঘণ্টায় সাড়ে ১৪১ কিলোমিটার গতির বলে স্লিপে শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ হন তিনি। এরপর তাইজুল ইসলামের (৮ বলে ৫) স্টাম্প উপড়ে ফেলেন বুমরাহ। হাসান মাহমুদকে (৪ বলে ১) এলবিডব্লিউ করেন সিরাজ।

রবীন্দ্র জাদেজাকে ফলোথ্রু করে ক্যাচ দিয়ে খালেদ আহমেদ আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের ২৩৩ রানের প্রথম ইনিংস।

এমএইচ/এএসএম