দেশজুড়ে

কুড়িগ্রামে তিন নদীর পানি বাড়ছে

কুড়িগ্রামের ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে তিস্তার পানি কমতে শুরু করায় দুর্ভোগে পড়ে রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষ। জনমনে স্বস্তি দেখা দিলেও নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।

Advertisement

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি কমে বিপৎসীমার ২৯ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ধরলা নদীর তালুক-শিমুল বাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদে নুন খাওয়া পয়েন্টে ২৩ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রাজারহাটের গতিয়াশাম এলাকার মো. আব্দুল হাই বলেন, দুদিন ধরে তিস্তার পানি ঢুকে চরের বাদাম, সবজি ও ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। তবে পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হলেও ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. কামাল হোসেন বলেন, দুই-তিনদিন ধরে ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়েছে। আজও পানি বাড়ছে। পানি বাড়া নিয়ে আমাদের আতঙ্ক নেই কিন্তু নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এ কয়দিনে চর যাত্রাপুরের ৮-১০ ঘর নদীতে তলিয়ে গেছে।

Advertisement

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই-তিনদের মধ্যে আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, তিস্তার গতিয়াশাম ও উলিপুর একটি স্কুল নদীভাঙনের মুখে পড়ার খবর পেয়েছি। ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফজলুল করিম ফারাজী/আরএইচ/জিকেএস