জাতীয়

সংস্কারের দাবিতে বেসিস কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান-বিক্ষোভ

সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) কার্যালয় অবরুদ্ধ করেছেন বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় বেসিসের বর্তমান নির্বাহী কমিটির (ইসি) পদত্যাগ ও তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি করেন তারা। তবে নির্বাহী কমিটি পদত্যাগে অস্বীকার করেন।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় পাঁচজন শিক্ষার্থীর একটি গ্রুপ বেসিস কার্যালয়ে এসে সংগঠনের সভাপতি রাসেল টি আহমদের সঙ্গে দেখা করতে চান। এক ঘণ্টার বেশি সময় তাদের বসিয়ে রাখেন বেসিসের কর্মকর্তারা। পরে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে আরও ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে যোগ দেন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, যার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে, তিনি কীভাবে বেসিসের নেতৃত্বে থাকেন? তবে বিক্ষুব্ধদের কারও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেখানে উপস্থিত একজনকে অপু এবং আরেকজনকে দীপু নামে ডাকতে শোনা গেছে।

বেলিস কর্মকর্তারা জানান, হঠাৎ এত শিক্ষার্থী কার্যালয়ে ঢুকে হৈ চৈ করায় একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

Advertisement

তারা আরও জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় যখন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বেলিস কার্যালয়ে প্রবেশ করেন, তখন এক্সেস টু ফিন্যান্স কমিটির সভা চলছিল। সেখানে বেলিস সদস্য ও তিনজন ঈশই সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন দুজন জাইকা প্রতিনিধি। দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত ছিলেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শিক্ষার্থীরা হৈ চৈ শুরু করলে বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশিদুল হাসান এবং সহ-সভাপতি (প্রশাসন) সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বেসিসের নারী কর্মী ও জাইকার প্রতিনিধিদের নিরাপদে সেখান থেকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা বেলিস সভাপতির সঙ্গে দেখা করার দাবি জানান।

রাত সাড়ে ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বেলিস কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। সেখানে সেনাবাহিনীর একটি টহল দলও এসেছে। তবে শিক্ষার্থীরা বেলিস সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়া কার্যালয় ছাড়তে নারাজ।

জানতে চাইলে বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান বলেন, স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে বেসিসের প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়। সদস্য ছাড়া বহিরাগতরা বেসিসের ইসির পদত্যাগ চাওয়া আইনসম্মত না। বেলিস কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নিন্দা জানাচ্ছি।

Advertisement

এএএইচ/এমএএইচ/জেআইএম