জাতীয়

দুদকের জালে সাবেক দুই এমপি ইকবাল ও জহির

বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা-১০ আসনের সাবেক এমপি ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডা. এইচ বি এম ইকবাল এবং হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আবু জাহিরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে দুর্নীতির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আবু জাহির ও তার স্ত্রীর নামে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ এবং রাজউকে প্লটসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

Advertisement

অন্যদিকে, এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২০১১ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ রয়েছে। গুলশানে তার রয়েছে রেনেসাঁ ও হিলটন নামে দুটি আলিশান হোটেল। এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়্যাল ইউনিভার্সিটিসহ গত এক যুগে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন তিনি। গত ১৩ থেকে ১৪ বছরে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ দেশে ও বিদেশে অর্জন করেছেন।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৭ মে এইচ বি এম ইকবাল, তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ও তাদের তিন সন্তানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

আদালত ২০০৮ সালের ১১ মার্চ ইকবালকে পৃথক দুটি ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া তার স্ত্রী ও সন্তানদের তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। ডা. ইকবাল সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি ছিলেন।

এসএম/এমকেআর/এমএস

Advertisement