তথ্যপ্রযুক্তি

বর্ষায় গাড়ির এসি কত ডিগ্রিতে রাখা ভালো?

গাড়িতে এসি চালিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে খানিকটা রক্ষা পাওয়া গেছে বটে। এছাড়া ধুলাবালি থেকে বাঁচতেও গাড়ির কাঁচ বন্ধ করে এসি ব্যবহার করেন। তবে বর্ষায় এসি চালানো নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন। বর্ষায় গাড়িতে এসি কততে চালাবেন তা-ও বোঝেন না।

Advertisement

বর্ষাকালে গাড়ির এয়ার কন্ডিশনারটি ২৪°সেলসিয়াস থেকে ২৬°সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রায় চালানো ভালো। এই তাপমাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ তো হবেই, সঙ্গে তা জ্বালানি সাশ্রয় এবং গাড়ির ভিতরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রণ করবে। জেনে নিন বর্ষাকালে গাড়ির এসি চালানোর সময় কী করতে হবে-

>> গাড়ির এসির ফ্যান মাঝারি গতিতে চালানো উচিত। এটি পুরো কেবিন জুড়ে সমানভাবে শীতল বাতাস বিতরণ করবে এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা অনুভব করার সম্ভাবনা কম হবে।

>> এসির রি-সার্কুলেশন মোড ব্যবহার করা উচিত। এটি গাড়ির ভেতরের বাতাসকে ঠান্ডা করবে এবং বাইরের গরম ও আর্দ্র বাতাসকে ভেতরে আসতে বাধা দেবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

ঘণ্টায় ৪৪৫ কিলোমিটার গতি এই গাড়ির

>> এসি ভেন্টগুলোকে উপরের দিকে এবং মুখ থেকে কিছুটা দূরের দিকে রাখতে হবে। এটি মুখে সরাসরি ঠান্ডা বাতাস পড়তে বাধা দেবে এবং গলা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।

>> বর্ষায় গাড়ির জানালা সামান্য খোলা রাখতে হবে। এটি গাড়ির ভেতর থেকে আর্দ্রতা অপসারণ করতে সাহায্য করবে এবং কাচকে ঝাপসা হওয়া থেকে রোধ করবে।

>> বর্ষার সময়ে গাড়ির এসির রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত। এটি নিশ্চিত করবে যে, এসি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে এবং ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করছে।

Advertisement

>> বর্ষার আগে গাড়ির এসি সার্ভিসিং করে রাখতে হবে। এটি নিশ্চিত করবে যে এসি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে এবং শীতল বাতাস সরবরাহ করছে।

>> নিয়মিত এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার বা প্রতিস্থাপন করা উচিত। একটি নোংরা এয়ার ফিল্টার বায়ুপ্রবাহ কমাতে পারে এবং এসিকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে। একই সঙ্গে গাড়ির কনডেন্সার কয়েলটিও পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে ফ্রেয়ন (রেফ্রিজারেন্ট) স্তর পরীক্ষা করতে হবে এবং টপ আপ করতে হবে।

>> বর্ষায় এসির তাপমাত্রা ২৪°সেলসিয়াস থেকে ২৬°সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে এসির ফ্যান মাঝারি গতিতে চালান এবং এসি ভেন্টগুলোকে উপরের দিকে এবং মুখ থেকে কিছুটা দূরে রাখুন।

আরও পড়ুন

জানালা খোলা রাখলে গাড়ির মাইলেজ কি কমে যায়? প্রথমবার গাড়ি কেনার আগে মাথায় রাখুন ৫ বিষয়

কেএসকে/এমএস