নিজের সন্তানকে জাকাত দেওয়া যায় না। সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হলেও তাকে জাকাত দেওয়া যাবে না। নিজের বাবা-মা, নানা-নানি, দাদা-দাদি ও নাতিপুতিদেরও জাকাত দেওয়া যাবে না। তাই পড়াশোনাসহ তাদের যে কোনো প্রয়োজনে নিজের জাকাতের অর্থ ব্যয় করলে জাকাত আদায় হবে না। তারা অভাবে পড়লে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের সাধারণ সম্পত্তি থেকেই তাদের সাহায্য করা কর্তব্য।
Advertisement
তবে খালা, ফুফু, মামা, চাচাসহ অন্য আত্মীয়স্বজন যদি জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত হয়, তাহলে তাদের জাকাত দেওয়া যাবে। আত্মীয়দের মধ্যে অভাবী কেউ থাকলে তাকেই জাকাত দেওয়া উত্তম। তাতে একইসাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ও জাকাত আদায় উভয় আমলের সওয়াবই পাওয়া যায়। রাসুল (সা.) বলেছেন,
الصدقة في المسكين صدقة وفي ذي الرحم صدقة وصلةসাধারণ অভাবীদের সদকা করলে তা শুধু সদকা হয়, আর আত্মীয়দের দিলে তা সদকা হয়, আত্মীয়তার হক আদায়ও হয়। (মুসনাদে আহমাদ: ১৫৭৯৪, সুনানে নাসাঈ: ২৫৮২)
জাকাত ইসলামের ফরজ বিধান, ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক ও সম্পদশালী মুসলমান পুরুষ এবং নারীর প্রতি বছর নিজের সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্র-দুস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে জাকাত বলা হয়। শরিয়ত নির্ধারিত সীমার বেশি সম্পদ হিজরি একব বছর ধরে কারও কাছে থাকলে তাকে সম্পদশালী গণ্য করা হয় এবং তার বর্ধনশীল সম্পদের ২.৫ শতাংশ বা ১/৪০ অংশ দান করতে হয়। কোরআনে জাকাত শব্দে উল্লেখ এসেছে ৩২ বার, নামাজের পর জাকাতের কথাই সবচেয়ে বেশি বলা হয়েছে।
Advertisement
ওএফএফ/এমএস