ঈদের ছুটি শেষে রাজশাহী থেকে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ফলে সড়কে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। রাজশাহী-ঢাকা সড়কের যমুনা সেতুতে তৈরি হয়েছে যানজট। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
Advertisement
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যমুনা সেতু এলাকায় যানজটের কারণে সময় মতো ফিরতে পারছে না যানবাহন। এমন অনিশ্চয়তায় যাত্রীদের দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। শুক্রবার থেকে এই যানজট শুরু হয়।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তৌফিক এলাহী বলেন, আমার কর্মস্থল ঢাকায়। ঈদের ছুটি শেষে অফিস শুরু হয়ে গেছে। তাই ফিরছি। কিন্তু রাজশাহীতে মানুষের ভিড় এত বেশি যে, বাসে উঠা যেন একটা যুদ্ধ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আফরোজা আক্তার বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলাম, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। এখন আবার ঢাকায় ফিরে ক্লাস ধরতে হবে। স্টেশনে এসে দেখি মানুষের ঢল। মনে হচ্ছে, সবাই একদিনেই ফিরছে। ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বাসে যাচ্ছি।
Advertisement
পোশাক কারখানার শ্রমিক সুমন আলী বলেন, আমার কর্মস্থল ঢাকায়। ছুটি শেষ মালিক আগেই ফোন দিয়ে বলে দিয়েছে যদি দেরি হয় তবে বেতন কেটে রাখা হবে। আমরা গরিব মানুষ একদিন কাজ না করলে ক্ষতি হয়ে যায়। তাই কষ্ট হলেও আজই রওনা দিয়েছি। এখানে এসে দেখি শুধু আমি না, আমার মতো শত শত মানুষ ঢাকায় যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে।
আরেক পোশাক শ্রমিক মনিরুজ্জামান বলেন, সাতদিনের ছুটি নিয়ে রাজশাহীতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে এসেছিলাম। আবার কাজে ফিরতে হচ্ছে। ট্রেনের টিকিট পাইনি, তাই বাসে করে যাচ্ছি।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মাহমুদা খাতুন বলেন, আমি রাজশাহীতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করেছি। কলেজে ক্লাস শুরু হয়ে যাচ্ছে, তাই ঢাকায় ফিরে যেতে হবে। কিন্তু টার্মিনালে এসে দেখি বসার জায়গা পর্যন্ত নেই। বাস-ট্রেন সবখানেই ঠেলাঠেলি। মেয়েদের জন্য এই যাত্রা আরও কষ্টদায়ক। নিরাপত্তা বিশ্রাম সবই অনিশ্চিত।
বেসরকারি চাকরিজীবী রায়হানুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে টার্মিনালে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেল, তবুও সিট মেলেনি। অবশেষে অনেক চেষ্টায় একটি সিট পেয়েছি।
Advertisement
হানিফ কাউন্টারের টিকিট মাস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পূর্ব পাশে বড় আকারের যানজট চলছে। এছাড়া রাজশাহীর বানেশ্বরে যানজটের কারণে নির্ধারিত সময়ে গাড়িগুলো ফিরতে পারছে না। এ কারণে গাড়ির গ্যাপ তৈরি হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে।
সাখাওয়াত হোসেন/জেডএইচ/