সাহিত্য

জান্নাতুল নাঈমের মায়া এবং অন্য কবিতা

মায়া

Advertisement

ভালোবাসার খড়কুটো বাড়ি জলে ভেসে গেলতুমি তীরে দাঁড়িয়ে দেখেছোআমাকে উদ্ধার করলে নাতোমার চোখ-মুখে হাসি দিয়ে বললে;আমার ভেসে যাওয়ায় তুমি আনন্দিততোমার আনন্দে চোখের জল রেখে বলছিআমার এই ভেঙে যাওয়া শেষ প্রস্থানের চিহ্ন।

একদিন ভালোবাসার তীব্র অভাবে রিক্ত হবেসেদিন দেখবে দু’মুঠোতে আমি আছিআমায় ধরতে এলে আলোর মতো ছুঁতে পারবে নাআলোরা জীবনের সকালেই আসেআঁধারে আলোরা হারিয়ে যায়।

আমার চির প্রস্থানে তুমি বিপুল আনন্দিত হয়েছোআজন্মকাল—আমি তোমার সব দুঃখে ব্যথিত হবোজেনে রেখো অভিমানে ফিরলেওচোখের জলে তোমার জন্য মায়া রেখে দেবো।

Advertisement

****

দাবি তুলো না

বহুকাল একাকিত্বের শেকলে বাঁধা পড়ে আছিনিজেকে নিজেই বেঁধে নিয়েছিঅবহেলায় জল সাঁতরে উঠে নিজেকে বেঁধেছিতুমি এসে শেকল খোলো নাআমি আবার ভালোবাসি ফেলবোযা ইচ্ছে হতে দাওঅধিকারের দাবি নিয়ে এসো নাপ্রেমিক না হতে পারলে আর কখনো এসো নাবন্ধুত্বের দাবিটুকু তোমার বাড়ির নিকটে ডাকাতিয়া নদীর জলে ফেলে এসোযেমন করে প্রত্যাখানে ভালোবাসা ছেড়েছো।

আমাকে একাকিত্বে বন্দি হতে দাওআর পাশে থাকার কোনো দাবি তুলো না।

Advertisement

****

সন্ন্যাসী

এতটা বৈচিত্র্যময় মানুষ হয়ো নাআমার তোমাকে বুঝতে কষ্ট হয়মেঘের আকাশ দেখলে বুঝতে পারি কখন বৃষ্টি নামবেনদীর জল দেখলে বুঝতে পারি কখন আষাঢ় আসবেগাছের পাতা দেখলে বুঝতে পারি কখন বসন্তকালমানুষ দেখলে বুঝতে পারি ভালো কি মন্দকেবল তোমাকেই বুঝতে পারি না।

আমার সম্মুখে কারুকার্যের পর্দায় নিজেকে সন্ন্যাসী করেছোগোটা পৃথিবী চিনেছি—অথচ তোমাকে চিনতে পারিনি।

এসইউ/জিকেএস