জাতীয়

জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ভোগান্তি কমছেই না

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়ে নাগরিকদের ভোগান্তি যেন কমছেই না। সংশোধন বা স্থানান্তরের কাজ ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠ পর্যায়ে সেবা প্রদান শুরু হলেও ভোগান্তি বরং বেড়েছে। কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে এখনও বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের কার্যালয়ে  যেতে না হলেও  প্রত্যন্ত অঞ্চলের কর্মকর্তারা বিভিন্ন অজুহাতে তাদেরকে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন। আবার ঢাকা থেকে তাদের বলা হচ্ছে কাজটি সংশ্লিষ্ট উপজেলায় করতে হবে।  জানা গেছে, নতুন ভোটার হওয়া, সংশোধন, স্থানান্তর বা আঙুলের ছাপ হালনাগাদের সব কাজের জন্য ঘোষণা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলা কার্যালয়ে হওয়ার কথা। অনেকে এসব কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে যাচ্ছেনও। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।এমন কয়েকজনের সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয় রাজধানীর আগার গাঁওয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কার্যালয়ে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে আগত সুবেদ সরকার জাগো নিউজকে জানান, এনআইডিতে জন্ম তারিখ ভুল আসে। সেটা ঠিক করতে তিনি বেগমগঞ্জের নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে যান। কিন্তু তারা জানান, এটি সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদি এখনও সরবরাহ করা হয়নি। তাই ঢাকা যেতে হবে। কিন্তু ঢাকা থেকে বলা হচ্ছে ওখান থেকে ভুল সংশোধন করতে হবে। ময়মনসিংহ থেকে আগত নহর আলী জানান, তার ছেলে ভোটার হলেও এখনও আইডি কার্ড পায় নি। কিন্তু ময়মনসিংহে যোগাযোগ করা হলে তাকে ঢাকায় আসতে বলা হয়। তবে ঢাকার ব্যক্তিরা বলছেন এখানে হবে না। এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বলেন, সব ব্যবস্থা করেই জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ মাঠ পর্যায়ে দেয়া হয়েছে। অনেকে না জেনেই পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্য ঢাকায় আসছেন। কিন্তু ঢাকায় এখন আর কাজ হচ্ছে না। এ উইংয়ের পরিচালক (অপরারেশন্স) সৈয়দ মুহাম্মদ মুসা বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারি চাকরিজীবীদের এনআইডি সংশোধনের চাপে উপজেলা পর্যায়ের লাখ লাখ আবেদনের নিষ্পত্তি করা যাচ্ছিল না।  তাই উপজেলা পর্যায়ে কাজ হচ্ছে এখন। ঢাকার ১৫টি থানা নির্বাচন অফিসসহ দেশের ৫১৪টি উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসে নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সেবা পাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, `সেবা বিকেন্দ্রীকরণের` জন্যই এ ব্যবস্থা।উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে প্রায় ১০ কোটি ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত এক কোটির হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। এইচএস/এএইচ/এমএস

Advertisement