সাহিত্য

মহালয়া এবং মায়ের চোখ

তাইজুল ইসলাম

Advertisement

মহালয়া

শেষরাতে হালকা ঠান্ডা পড়ায় ঘুমটা বেশ গাঢ় হয়েছে। হঠাৎ মায়ের হাকডাকে ঘুম ভাঙে তমার। বিছানা ছেড়ে চোখ কচলাতে কচলাতে বাইরে এসে দাঁড়ায়। তখন কাকভোর। বাবার ঘরটায় রেডিওটা আজ একটু বেশি ভলিউমেই বাজছে।

কানে ভেসে আসে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলা—“অচিন্ত্যরূপচরিতে সর্বশত্রুবিনাশিনী!রূপং দেহি; জয়ং দেহি; যশ দেহি; দ্বিষো জহি...”

Advertisement

ঠাম্মা চায়ের কাপটা হাতে ধরিয়ে দিতে দিতে বললেন, ‘শুভ মহালয়া দিদিভাই!’

****

মায়ের চোখ

চোখের কাছটায় যেতেই হাত আটকে যায় সুজিতের। কিছুতেই প্রতিমার চোখ আঁকতে পারছে না। বিষয়টা দূর থেকে খেয়াল করে অর্পিতা। দীর্ঘ কুড়ি বছর পর বাড়ির পূজোর প্রতিমা বানাচ্ছে সুজিত। মা মারা যাওয়ার পর থেকে কাদা মাটি ছুঁয়ে দেখেনি।

Advertisement

দীপ্তিকে এনে সুজিতের সামনে দাঁড় করায় অর্পিতা। বলে, ‘মেয়ের চোখ দুটোর দিকে ভালো করে একবার তাকাও।’

দীপ্তির চোখের দিকে তাকাতেই ঝলমলিয়ে ওঠে সুজিতের মুখ। কুড়ি বছর আগে হারিয়ে যাওয়া চোখ দুটো দু’চোখ ভরে দেখছে সুজিত।

এসইউ/এমএস