একুশে বইমেলা

পর্দা নামলো অমর একুশে বইমেলার

অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় বইমেলার পর্দা নামে। শেষ দিনে লেখক-পাঠকের সমাগমে মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। এদিন বইপ্রেমীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপচেপড়া ভিড় ছিল। শেষ দিন হওয়ায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বইমেলায় ঘুরতে আসেন। বইও কিনছেন অনেকেই। ফলে বই বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করেন বিক্রেতারাও।

রাজধানীর মগবাজার থেকে পরিবারসহ মেলায় আসেন রজব শিকদার। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মেলা ঘুরে দেখছেন। রজব বলেন, মেলার শুরুতে একদিন এসেছিলাম। আজ পরিবারসহ আসলাম, বই কিনলাম। মেয়ের জন্য কার্টুনের বইও কিনেছি।

শেষ দিনে বইমেলায় শিক্ষার্থীদের ভিড় বেশি দেখা গেছে। জুয়েল মৃধা নামের এক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, এবারের বইমেলায় অনেকবারই এসেছি। আজ শেষ দিন। তাই বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় আসলাম। দুটি বই কিনেছি।

Advertisement

প্রতি বছরের মতো এবারও সমাপনী অনুষ্ঠানে গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ পেয়েছে ‘আগামী প্রকাশনী’।

আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার ঘোষণা

২০২২ সালে প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে শৈল্পিক বিচারে সেরা গ্রন্থের জন্য মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছে ‘জার্নিম্যান বুকস’, ‘ঐতিহ্য’ ও ‘পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স’। আহমদ রফিক রচিত ‘বিচ্ছিন্ন ভাবন’ গ্রন্থের জন্য জার্নিম্যান বুকস, মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ রচিত ‘বাংলা একাডেমি আমার বাংলা একাডেমি’ গ্রন্থের জন্য ঐতিহ্য এবং হাবিবুর রহমান রচিত ‘ঠার বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা’ গ্রন্থের জন্য পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এ পুরস্কার পেয়েছে।

২০২২ সালে গুণমান বিচারে সর্বাধিক সংখ্যক শিশুতোষ গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ পেয়েছে ‘ময়ূরপঙ্খি’। অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উপলক্ষে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ পেয়েছে ‘উড়কি’ (এক ইউনিট), ‘নবান্ন’ (২-৪ ইউনিট) ও ‘পুথিনিলয়’ (প্যাভেলিয়ন)।

Advertisement

নাহিদ হাসান/এএএইচ/এএসএম