ফিচার

হাতের লেখা দিবস কেন পালিত হয়?

আজ ২৩ জানুয়ারি দিনটি হাতের লেখার। ১৯৭৭ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে এ দিনটি। মূলত টাইপিংয়ের যুগে হাতের লেখা হারিয়েই যেতে বসেছে। হাতে লেখা চিঠি বা দলিলের যুগ পেরিয়েছে অনেক বছর আগেই। এখন শুধু একাডেমিক পরীক্ষা ছাড়া হাতের লেখা খুব একটা প্রয়োজন হয় না বললেই চলে।

Advertisement

যুক্তরাষ্ট্রে হাতের লেখা দিবস পালনের ধারণা ও প্রচলন হয়। রাইটিং ইনস্ট্রুমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউআইএমএ) দিবসটি পালনের উদ্যোক্তা। সেখানে প্রতিবছর ২৩ জানুয়ারি জাতীয় হাতের লেখা দিবস পালিত হয়। ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করেছিলেন জন হ্যানকক। খুবই চমৎকার ছিল তার দীর্ঘ স্বাক্ষর। সে কারণেও হ্যানককের স্বাক্ষর খুব বিখ্যাত।

আরও পড়ুন: গরম গরম চা খাওয়ার দিন আজ

হ্যানককের জন্মদিন ২৩ জানুয়ারিকেই লেখা দিবস হিসেবে উদ্যোক্তারা বেছে নেন। দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে হাতের লেখার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং লিখতে আগ্রহী করে তোলা। তবে হাতে লেখার প্রচলন শুরু হয়েছিল কবে থেকে সে খবর হয়তো অনেকেরই অজানা।

Advertisement

ইতিহাসবিদদের মতে, হাতের লেখার ৩৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মেসোপটেমিয়ায় উদ্ভাবিত হয়েছিল। সে সময় তারা মাটির ট্যাবলেটে কিউনিফর্ম লিখত। সেখান থেকে লেখার শিল্প ছড়িয়ে পড়ে মিশরে। এরপর রোম এবং সেখান থেকে পুরো ইউরোপে।

হাতের লেখা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর গুরুত্ব বাড়তে থাকা। যদিও শুরুতে এই শিল্প ছিল শুধু রাজকীয় পরিবারের সদস্যদের শেকা এবং চর্চার বিষয়। ১৭০০-এর দশকে লেখকদের প্রশিক্ষণের জন্য বিশ্বের প্রথম হস্তাক্ষর এবং কলমবিদ্যা স্কুল গঠিত হয়।

তখনকার সময় ফিনিশীয় লিপি, মেসোপটেমিয়ায় সুমেরীয়দের ‘কিলক লিপি’ এবং মিশরীয়দের ছবির প্রতীক দিয়ে হায়ারোগ্লিফিক লিপিতেই ভাব প্রকাশ ও সংরক্ষণের কাজ চালানো হতো। ক্রমান্বয়ে এল বর্ণমালা। হাতের লেখা মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে। এগুলো হলো- কার্সিভ, প্রিন্ট রাইটিং এবং ডি’নেলিয়ান।

আরও পড়ুন: আজ হাওয়াই মিঠাই খাওয়ার দিন হাতের লেখার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। যেমন- মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে, বিষণ্নতা কমায়, স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, মনোযোগ বাড়ায়, এমনকি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। চাইলে এই যান্ত্রিক জীবনে স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে টাইপিংয়ের পাশাপাশি হাতে লিখতে পারেন। প্রিয়জনকে সপ্তাহে বা মাসে একটি চিঠি লিখুন, কিংবা মনে যা আসে তাই লিখে রাখুন ডায়েরিতে।

Advertisement

সূত্র: ডেইজ অব দ্য ইয়ার/ ন্যাশনালটুডে/ভ্যানিলা পেপারস

কেএসকে/এএসএম