সাহিত্য

জাদীদ রওশনের দুটি কবিতা

রূপসা পাড়ের মেয়েটি

Advertisement

মেহেদি রাঙা হাত নাকে নোলক বেনারসির জরি এঁকেছিলে তুমি সুদর্শন কোনো যুবকের বুকে তুমি হারিয়ে গেলে আবছায়াআলো থেকে অনেক দূরে, দুঃখকে বন্ধু করে সুখ কিনেছিলাম সেদিন।

এরপর চোখে আমার এক নদী যমুনা অঝোর ঝরছে নিভৃতে নিঃশব্দে শরীরের হাজারো শিরায় ভাঙছে কাছাড় অন্তরে বিঁধছে ক্যাকটাস অবিরত।

জীবনের আঁকাবাঁকা সর্পিল পথে তোমাকে খুঁজতে ছুটেছি দিক-দিগন্তে শীতের অতিথি পাখিদের মতো দেখেছি অরণ্য আঁকড়ে ধরে আছে গাঢ় সবুজদেখেছি পোকামাকড়ের ঘরবসতি বাবুই গড়ছে তার ঝুলন্ত আবাস যেন এটাই তার বেবিলনের প্রাসাদ দেখেছি খড়কুটো দিয়ে নিখাদ তার শিল্পের কারুকাজ।

Advertisement

কখন যেন পৌঁছে গেছি রূপসার পাড়ে অনাবাদী মনে এতদিনে জমেছে অনেক পলি বুনবো আবার ভালোবাসার শতকোটি বীজ উড়ন্ত ইচ্ছেরা বলে কেড়ে নিব এবার তোমার ভালোবাসার সুখের নীদ।

****

অন্তরের আলপনা

মেঘলা আকাশ বিষণ্ন সকাল আমার ভালো লাগে নাআমার ভালো লাগে প্রথম সকালের মিহি আলো নরম ঘাসের ডগায় প্রাণ পেতে বসা সবুজ ঘাসফড়িং হেঁটে যাওয়া পাতিহাঁসের দল ডাঙা থেকে জলে।

Advertisement

প্রখর অলস দুপুর আমার ভালো লাগে না ভালো লাগে না ঝরে যাওয়া গাছের মলিন পাতা ভালো লাগে না পোড়ামন জ্বলে-পুড়ে আরও খাক হয়ে যাক ভালো লাগে রবিঠাকুরের‘আমারো পরানো যাহা চায়’ বারবার।

ভালো লাগে পড়ন্ত বিকেল সূর্যাস্তের রক্তিম আঁচল আকাশ কলসি কাঁখে হেটে যাওয়া গায়ের বধূ হাতে হাত রেখে দূর দিগন্তে দেখানীড়ে ফেরা ধবল বক সারি সারি ভালো লাগে ভালোবাসার আল্পনা আঁকা কাঁধে কাঁধ রেখে তখন তোমার ইচ্ছেরা বলবে একটিবার ভালোবাসি তোমায় ভালোবাসি।

জেএস/এসইউ/জেআইএম