মানুষের পদচারণায় সার্বক্ষণিক মুখরিত থাকে রাজধানীর পল্টন ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ সংলগ্ন এলাকা। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এই এলাকার রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতেই চান না পথচারীরা। ওই ব্রিজের নিচের পিলারের গোড়ায় উঠেই নিয়মিত রাস্তা পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই ওভার ব্রিজে উঠতে এক রকম অনাগ্রহই প্রকাশ করেন। পিলারের ওই গোড়াটা রাস্তা থেকে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই ফিট ওপরে। এক বৃদ্ধাকে অন্যের সাহায্য নিয়ে ওই উচু পিলার টপকে যেতে দেখা যায়। কিন্তু তিনি ফুটওভার ব্রিজের ওপরে উঠতে চান না।মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, ওইদিন প্রতি মিনিটে ব্রিজের ওপর দিয়ে দুই থেকে তিনজন লোক পারাপার হলেও পিলারের গোড়া দিয়ে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। ফলে দিনের অধিকাংশ সময় ওই ব্রিজটি থাকে পুরো ফাঁকা। দু’এক জন পথচারী ব্রিজের ওপর দিয়ে গেলেও নারী পুরুষ নির্বিশেষে কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই ব্রিজ ব্যবহারের দিকে। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে দিনেই পথচারীদের এই অবস্থা। ফলে রাতে ব্রিজ ব্যবহারের প্রশ্নই আসে না। তবে বুধবার রাত ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, এই সময়ে পিলারের নিচের গোড়া দিয়ে ১০ জন পথচারী রাস্তা পার হয়েছেন। একই সময়ে নিরাপত্তার কথা ভেবে দুটি বাচ্চাসহ একটি পরিবার ওভার ব্রিজের ওপর দিয়ে পার হয়েছেন। তবে রাত গভীর হওয়ার পরে খুব বেশি পথচারীকে এই ফুটওভার ব্রিজের ওপর বা নিচ দিয়ে পারাপার হতে দেখা যায়নি। মসজিদ মার্কেট ও অফিস-আদালতে যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষের ঢল নামে এই রাস্তায়। কিন্তু ঝুঁকি এড়াতে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করার প্রতি কারো ভ্রুক্ষেপ নেই।ব্রিজটির পাশে অবস্থানরত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রয়োজনের তাগিদেই এটা নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ কোনো পথচারী রাস্তা পারাপারের জন্য এটি ব্যবহার করেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হলেও ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করেন না পথচারীরা।তবে ব্রিজের দুই পাশের পিলার ঘেষেই দোকানিরা ফলের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ পাশে ফলের দোকান এবং চায়ের দোকান থাকায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পথচারীরা ব্রিজের ওপরে উঠতে পারেন না।ফুটওভার ব্রিজটি কিছুদিন আগেও ফকির বা মাদকাসক্তদের দখলে ছিল। তা সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় দখলমুক্ত করা হয়েছে। তারপরেও পল্টন বায়তুল মোকাররম এলাকার পথচারীরা তা ব্যবহার করছেন না। এফএইচ/একে/আরআইপি
Advertisement