বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
Advertisement
তিনি বলেছেন, সরকার বনের দস্যুতা দূর করার জন্য আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের পুনর্বাসন ও বনের অপরাধ দমনের উদ্যোগের পাশাপাশি সেখানে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার বিকল্প ব্যবস্থা করেছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) নিজ দপ্তরে উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা সুন্দরবনের নদ-নদী, খাল ও চ্যানেলগুলো বন্ধ করে চিংড়ি চাষ করায় সেখানকার পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান সরকার এসব নদ-নদী ও খাল পুনর্খনন করে নাব্য ফিরিয়েছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের সুরক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে।
Advertisement
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উপকূলীয় জনপদকে রক্ষায় কর্মপরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘সুশীলন’-এর নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে উপকূলের জীবন-জীবিকার ওপর। কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পাচ্ছে। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। যা সুন্দরবনকে আরও হুমকির মুখে ফেলছে।
এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, সাংবাদিক সাকিলা পারভীন, সুশীলনের সহকারী পরিচালক শাহিনা পারভীন ও সচেতন সংস্থার মোসাদ্দেক হোসেন প্রমুখ।
Advertisement
সাক্ষাৎকালে মন্ত্রীর কাছে ‘সুশীলন’-এর ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের ক্রেস্ট ও সুভেনির হস্তান্তর করা হয়। ভার্চুয়ালি আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশমন্ত্রী।
এইচএস/এমকেআর/এমএস