চলনবিলের সাদা সোনা খ্যাত রসুনের দাম এবার অনেক কম। তারপরও রসুন চাষেই ঝুঁকছেন কৃষক। আগামী বছর লাভের আশায় নরম কাদা মাটিতে রসুনের কোয়া রোপণে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষকরা। অধিকাংশ এলাকাতেই রসুন লাগানো শেষ হয়েছে। তবে শেষ সময়ে কিছু জায়গায় এখনো রসুন লাগানো চলছেই।
Advertisement
গতবছরের তুলনায় সার, কীটনাশক, সেচের দাম বাড়লেও কমেছে বীজের দাম ও জমি লিজ মূল্য। যার ফলে এবছর রসুন চাষে বিঘায় অন্তত পাঁচ হাজার টাকা সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নাটোর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে চলনবিলের গুরুদাসপুর, বডড়াইগ্রাম, সিংড়া, তাড়াশ ও চাটমোহর উপজেলায় ২৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অঞ্চলে বিনা চাষে রসুন চাষ হয়ে থাকে।
অর্থাৎ কোন চাষ ছাড়াই বর্ষার পানি নেমে গেলে নরম কাদা-মাটিতে রসুনের বীজ বা কোয়া রোপণ করা হয়। এরপর খড় দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। এ পদ্ধতির চাষাবাদকে বিনা চাষে রসুন আবাদ বলা হয়ে থাকে। তাছাড়া চাষ পদ্ধতির চাইতে এই পদ্ধতিতে রসুন সাইজে বড় ও ফলন হয় বেশি।
Advertisement
শিধুলী গ্রামের শুকুর আলী, খাদেম আলীসহ অনেক চাষি বলেছেন, বিশ বছর ধরে চলনবিল অঞ্চলে তারা বিনা চাষে রসুন আবাদ করছেন। কিন্তু এবছর ৮০০ টাকা মণ দরে রসুন বিক্রি হচ্ছে।
অথচ উৎপাদিত খরচ পড়েছে মণ প্রতি প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা। উৎপাদিত রসুনের দাম ভালো পেলে আগামীতে আরও বেশি রসুনের চাষ করবেন বলে তারা জানান। আর নায্য দাম না পেলে পথে বসতে হবে তাদের।
গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন-অর রশিদ জানান, চলতি বছর ৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে রসুনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে রসুনের জমিতে সাথি ফসল তরমুজ বাঙ্গি, খিরা ও মিষ্টি কুমড়ার দাম ভালো থাকায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হবে বলেই আশা করছে কৃষি বিভাগ।
রেজাউল করিম রেজা/এমএমএফ/এমএস
Advertisement