ভ্রমণ

একদিনেই ঘুরে আসুন ঢাকার কাছাকাছি ৬ স্পটে

রাজধানীবাসীরা ছুটির দিন কিংবা অবসর সময় কাটাতে আশেপাশের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। যদি পাহাড়-সমুদ্র দেখার জন্য অনেকেই ছুটে যান কক্সবাজার কিংবা বান্দরবনে। তবে সব সময় তো আর ঢাকার বাইরে চাইলেই ঘুরতে যাওয়া যায় না।

Advertisement

তবে জানেন কি, ঢাকার ভেতরে কিংবা আশেপাশেই বেশ কিছু ঘুরে বেড়ানোর মতো স্পট আছে। চাইলেই সময় করে পরিবার-পরিজনসহ ঘুরে আসতে পারেন এসব স্থান থেকে। ঢাকার কাছাকাছি এসব স্পটে একদিনেই খুব কম খরচে ঘুরে আসতে পারবেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক তেমনই কয়েকটি ট্যুরিস্ট স্পট-

মায়াদ্বীপ

নারায়নগঞ্জ জেলার বারদি ইউনিয়নের মায়াদ্বীপ হতে পারে এক বিকেল কাটানোর দুর্দান্ত স্থান। মায়াদ্বীপ হলো মেঘনা নদীর বুকে ভেসে ওঠা একটি দারুন সুন্দর চর এর নাম।

Advertisement

মূল ভূ-খণ্ড থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরের বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপের মানুষের জীবন বেশ সংগ্রামের। ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্যবাহী বারদি ইউনিয়নের অন্তর্গত নুনেরটেক গ্রাম মেঘনা নদী দ্বারা সোনারগাঁয়ের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন।

নদীপথে সোনারগাঁ থেকে স্থানটি ৪-৫ কিলোমিটার। আজ থেকে প্রায় শত বছর আগে মেঘনার বুক চিরে জেগে ওঠা এই চরের নাম রেখেছিল স্থানীয়রা নুনেরটেক। সেই নুনেরটেকের কোলেই আছে সবুজ এক গ্রাম, যার নাম মায়াদ্বীপ।

পরিবার ও প্রিয়জন নিয়ে সময় কাটাতে চাইলেই যেতে পারেন মায়াদ্বীপে। মায়াদ্বীপ এর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনার শাখা নদীর নীল পানি আপনাকে মুগ্ধ করবে মুহূর্তেই।

নকশী পল্লী

Advertisement

নকশী পল্লী পূর্বাচল বালু নদীর পাশে অবস্থিত। বালু নদীতেও পর্যটকরা সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমায়। তবে নকশী পল্লী হলো একটি রেস্তোরা।

প্রাকৃতিক পরিবেশে বসে পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে ও খাওয়া উপভোগ করতে যেতে পারেন ঢাকার খুব কাছের এই রেস্টুরেন্টে। এছাড়াও সময় পেলে বোটে করে ঘুরে বেড়াতে পারেন নদীতে।

দিয়াবাড়ি

উত্তরার দিয়াবাড়িতে অনেকেই ছুটির দিন কাটাতে যান। শরতের এ সময় সেখানে গেলে দেখতে পাবেন দিগন্ত বিস্তৃত কাশবন। সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি ফটোসেশনে জন্য দিয়াবাড়ি একটি আদর্শ জায়গা।

প্রায় প্রতিদিনই সেখানে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনোদনপ্রেমীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। আর কাশবনের পাশে নদীর তীরের হিমেল বাতাস আলোড়িত করে দর্শনার্থীদের।

মহেরা জমিদার বাড়ি

ঢাকার অদূরেই এক পর্যটন কেন্দ্র হলো মহেরা জমিদার বাড়ি। টাঙ্গাইলের জনপ্রিয় এক ঘোরার স্থান এটি। আপনি একদিনেই ঘুরে আসতে পারবেন মহেরা জমিদার বাড়ি থেকে। এটি তিনটি স্থাপনা নিয়ে তৈরি।

বাড়ির ভেতরের দিকে বিশাল খাঁচায় বিভিন্ন রকম পাখি পালন করা হয়। তিনটি স্থাপনার প্রতিটিতিই অসাধারণ কারুকার্য করা আছে। এসব কারুকার্য দেখলেই মন ভরে যাবে। একইসঙ্গে সেখানকার নিস্তবদ্ধ প্রাকৃতিক পরিবেশ মনে প্রশান্তি আনবে।

নিকলী হাওর

রাজধানী থেকে একটু দূরে যেতে চাইলে এ সময় ঘুরে আসতে পারেন কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর থেকে। একদিনেই ঘুরে আসতে পারবেন এই হাওর থেকে। খোলামেলা পরিবেশে স্নিগ্ধ প্রকৃতির ছোঁয়া পাবেন সেখানে।

ঢাকা থেকে বাইক নিয়েও যেতে পারেন কিশোরগঞ্জ শহরে। সেখান থেকে নিকলি ঘাট ও পড়ে নৌকা ভাড়া করে ঘুরে দেখুন হাওর। মনে রাখবেন, বর্ষার শেষ দিকে হাওর ভ্রমনের উপযুক্ত সময়।

বাইক নিয়ে গেলে হাওরের পাশে বাইক রেখে আপনি ঘুরতে পারবেন। তবে নিকলী হাওর যেতে চাইলে খুব সকালে ঢাকা থেকে রওনা হতে হবে তাহলেই সন্ধ্যার মধ্যে ফিরতে পারবেন।

শালবন বিহার

শালবন বৌদ্ধবিহার দেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতির চমৎকার সব প্রাচীনস্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি।

দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এ বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেন। শালবন বিহার যেতে প্রথমে কুমিল্লা শহরে যাবেন। কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে কোট বাড়িতে শালবন বিহার অবস্থিত।

চাইলে একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন শালবন বিহার থেকে। আর থাকতে চাইলেও কুমিল্লা শহরে পছন্দমমতো হোটেলে কম খরচের মধ্যেই রাত কাটাতে পারবেন।

জেএমএস/জিকেএস