এখন স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্তও কেউ থাকতে পারছে না। স্মার্টফোন যেন হয়ে উঠেছে মাল্টিটাস্কিং বা বহুমুখী কাজের একমাত্র পথ। অনেকের কাছে স্মার্টফোন এখন একটিমাত্র প্রযুক্তি যা দিয়ে অসংখ্য কাজ করা যেতে পারে।
Advertisement
একই সঙ্গে তার মধ্যে আছে ডিকশনারি, ক্যালকুলেটর, ব্রাউজার, ই-মেইল, গেমবয়, ক্যালেন্ডার, ভয়েস রেকর্ডার, গিটার টিউনার, ওয়েদার ফোরকাস্ট, জিপিএস, টুইটার, ফেসবুক আবার ফ্ল্যাশলাইট। এখন থেকে বছর ত্রিশেক আগে একটি আইবিএম কম্পিউটারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ছোট্ট এই গ্যাজেট। কিন্তু এত কাজ একসঙ্গে করতে গিয়ে আসলে কতটা কাজ করা হচ্ছে আমাদের? মানুষের মস্তিষ্ক আসলে একসঙ্গে অনেক কাজ বা মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য উপযুক্ত নয়। অনেক কাজ করার সময় আসলে আমাদের মস্তিষ্ক এক কাজ থেকে আরেক কাজে লাফিয়ে বেড়ায়।
এর ফলে বাস্তবে আমাদের কার্যক্ষমতা কমে আসছে। শুধু তাই নয়, মাল্টিটাস্কিং করতে গিয়ে বাড়ছে আমাদের শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের পরিমাণ। এতে ধোঁয়াটে হয়ে পড়ছে আমাদের চিন্তাধারা।
সহজেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমাদের মনোযোগ। ফোর্বস-এ প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ইনবক্সে একটি ই-মেইল এসে বসে আছে, এটা জানার পর যদি অন্য একটি কাজে মন দেয়ার চেষ্টা করা হয় তবে আইকিউ কমে আসতে পারে ১০ পয়েন্ট পর্যন্ত। মাল্টিটাস্কিংয়ের ফলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে ড্রাগ নেয়ার ফলে সৃষ্ট খতির সঙ্গে।
Advertisement
মাল্টিটাস্কিং করতে গিয়ে আমাদের মধ্যে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ারও প্রবণতা দেখা যায়। ই-মেইল বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অন্যের সঙ্গে কানেকটেড থাকতে গিয়ে যে আমরা এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছি, এ ব্যাপারে খেয়াল করছি না কেউই। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের সবার মস্তিষ্ক।
মানুষের জিনোমের ৩ বিলিয়ন বেস পেয়ারের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ আসলে প্রোটিন তৈরির কাজ করে। বাকি সব নন কোডিং ডিএনএর মধ্যে লুকিয়ে থাকে কিছু রেট্রোভাইরাস যা বিবর্তনের ধারায় চলে এসেছে আমাদের মধ্যে। এরা ব্রেন ফাংশনের জন্য হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ।
এমএমএফ/এমএস
Advertisement