জাগো জবস

ভয় কাটিয়ে ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

কাজের দক্ষতাসহ রেজাল্ট ফার্স্ট ক্লাস থাকলেও অনেকে ইন্টাভিউয়ে ভয় পেয়ে চাকরিটাই হাতছাড়া করে ফেলেন। ইন্টারভিউয়ে ভয় না পেয়ে বরং নিজের ওপর আস্থা রাখাটা জরুরি।

Advertisement

আপনি এক বা দুটি প্রশ্নের উত্তর না-ই জানতে পারেন। তা বলে ঘাবড়ে গিয়ে অন্য প্রশ্নের উত্তর যদি দিতে না পারেন, তাহলে মুশকিল। এজন্য আস্থাশীল হয়ে পরিস্থিতি সামলে নিয়ে বিনয়ী হয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে।

এ ব্যাপারে কয়েকটি টিপস রয়েছে; যেগুলো মানলে ইন্টারভিউয়ে অবশ্যই ভালো করতে পারবেন-

প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব: যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে যাবেন; সেখানকার খুঁটিনাটি তথ্য জানার চেষ্টা করুন। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য তাদের ওয়েবসাইট থেকে নিতে পারেন। এ ছাড়াও গুগল এবং ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করুন। তাহলে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।

Advertisement

আপডেটেড সিভি: ইন্টারভিউ বোর্ডের কর্মকর্তারা আপনার কাছে জীবন-বৃত্তান্ত চাইতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপডেটেড জীবন-বৃত্তান্তটি দেবেন। সিভি যেন একেবারেই সাদামাটা না হয়। এজন্য পেশাদার কাউকে দিয়ে তৈরি করাতে পারেন। অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন, কাজের অভিজ্ঞতা, ভালো লাগা, স্থায়ী ঠিকানাসহ প্রতিটি অর্জন এবং লক্ষ্য সিভিতে রাখা জরুরি।

সময়ের প্রতি খেয়াল: অনেকেই ইন্টারভিউয়ের দিন তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে গোলমাল বাঁধিয়ে বসেন। যতটা সম্ভব হাতে সময় নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে ইন্টারভিউ বোর্ডে যেতে হবে। খেয়াল রাখবেন, যেন নির্ধারিত সময়ের আগেই আপনি সেখানে পৌঁছাতে পারেন। ইন্টারভিউয়ের সময় যতটা সম্ভব শান্ত থাকুন।

সঠিক পোশাক: আগে দর্শনধারী; পরে গুণবিচারী। তাই ইন্টারভিউয়ের দিন জিন্স, টি-শার্ট না পরে বরং ফরমাল প্যান্ট-শার্ট পরুন। অন্যদিকে নারীরা চাইলে পরিপাটি হয়ে শাড়ি কিংবা থ্রি-পিস পরতে পারেন। হালকা কালারের পোশাক পরুন, এতে আপনাকে সুন্দর লাগবে।

সাবলীল থাকা: সাক্ষাৎকারের সময় আড়ষ্ট না থেকে বরং স্বাচ্ছন্দ্যে প্রশ্নের উত্তর দিন। উত্তেজিত হয়ে আবার জোর গলায় দ্রুত কথা বলবেন না। হার্টবিট স্বাভাবিক রাখতে ইন্টারভিউ রুমে ঢোকার আগে কয়েকবার পেট ভরে নিশ্বাস নিন। কথা বলার সময় গুছিয়ে বলবেন। কোনো প্রশ্নের উত্তরে আটকে গেলেও বিনীত হয়ে ‘জানি না’ স্পষ্টভাবে বলুন।

Advertisement

নিজের বিশেষত্ব: হাজারো পরীক্ষার্থীর মধ্যে আপনাকে কেন প্রতিষ্ঠান চাকরি দেবে? তাই নিজের বিশেষত্ব সম্পর্কে সাক্ষাৎকারে বলুন। আপনি কাজ করার ক্ষেত্রে কতটুকু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন, সে বিষয়েও কথা বলুন।

বেতনের বিষয়: বেতনের বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রয়োজন অনুযায়ী সংখ্যাটি বলুন। এ ছাড়া সাক্ষাৎকারে সাপ্তাহিক ছুটির দিন, আপনাকে কী কী করতে হবে- সেসব বিষয়ে সুযোগ পেলে কথা বলতে পারেন।

ওয়েলনেস/জেএমএস/এসইউ/এমকেএইচ