ভ্রমণ

অস্ট্রেলিয়ার ‘বৃষ্টির বন’ দেখতে কেমন?

মো. ইয়াকুব আলী

Advertisement

অস্ট্রেলিয়াতেও করোনার ধাক্কা এসে লেগেছে। তবুও ‘জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মেই’। দেখতে দেখতে অস্ট্রেলিয়ায় বাবা দিবস চলে এলো। এবার পালন করা হলো ৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেল। কারণ আগের রাতে ঘুমাতে যেতে দেরি হয়েছিল। ঘুম ভাঙলো রায়ানের ডাকাডাকিতে। সে দেখে ফেলেছে, তার মা এবং বোন মিলে কিছু একটা আয়োজন করছে। কিন্তু আমি পড়েপড়ে ঘুমাচ্ছি, তাই ডেকে তোলা। আমি টেবিলে গিয়ে দেখি, আমার জন্য নাশতা এবং উপহার রেডি। তাদের উপহারগুলো খুলে খুলে দেখলাম। তারপর সবাই মিলে একসাথে নাশতা করলাম। তখন ভাবছিলাম, বাচ্চাদেরও একটি সারপ্রাইজ দিলে কেমন হয়? বাবা দিবস উপলক্ষে কোথাও থেকে ঘুরে আসলে কেমন হয়?

ফেসবুক এখন যেমন শো-অফের জায়গা; ঠিক তেমনি অনেক কাজেরও জায়গা। আমার মতে, ফেসবুক এখন নাগরিক সমাজের দর্পণ। আগের দিন পিউ আপু সপরিবারে ‘মিনামারা রেইন ফরেস্ট’ বেড়াতে গিয়ে ছবি পোস্ট করেছিলেন। দেখে খুবই মনে ধরেছিল। একেবারে নির্জন জায়গা, ঝুলন্ত সেতু, টলটলে পরিষ্কার পানির ঝরনা। বেড়ানোর জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা। পিউ আপুর সাথে পরিচয় অস্ট্রেলিয়া আসার পর। বাপ্পি ভাইদের বাসায় উনি না-কি আমাকে দেখেছিলেন কিন্তু আমি খেয়াল করিনি।

সামান্য পরিচয়ে তিনি আমাকে মনে রেখেছেন। পিউ আপুও প্রকৃতিপ্রেমিক। তার ছবিগুলো দেখে মনে মনে পরিকল্পনা করে ফেললাম, পরদিন বাবা দিবসে বাচ্চাদের নিয়ে ওখানে বেড়াতে গেলে কেমন হয়। আমাদের বাসা মিন্টো থেকে ঘণ্টা দেড়েকের ড্রাইভ আর সিডনি শহর থেকে ঘণ্টা দুয়েকের ড্রাইভ। হুট করেই পরিকল্পনা করা। তাই একটি ব্যাকপ্যাকে এক প্যাকেট ড্ৰাই কেক আর এক বোতল কোক নিয়ে নিলাম। এরপর যাত্রা শুরু করলাম। রায়ান আর তাহিয়া পথেই ঘুমিয়ে পড়ল। আমি দুপাশের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে যেতে শুরু করলাম। এর আগে যখন এদিক দিয়ে গেছি তখন বুশ ফায়ার হচ্ছিল। চারদিকে তাই আশেপাশের স্থলভাগ ছিল একেবারে বাদামি বর্ণের বিরানভূমি। কিন্তু এবার সেসব খোলা জায়গা গাঢ় সবুজে ঢাকা। তার মধ্যে কোথাও গরু, কোথাও ভেড়া, কোথাও ঘোড়া চড়ে বেড়াচ্ছে। আরও কিছুদূর যাওয়ার পর শুরু হয় পাহাড়ি রাস্তা। রাস্তাটি কখনো পাহাড়ের মধ্যদিয়ে আবার কখনো পাহাড়ের কোলঘেঁষে বয়ে গেছে। তাই অন্যপাশে তাকালে সত্যি কিছুটা ভয় লাগে। চলতে চলতে একসময় আমরা রাস্তা থেকে সমুদ্র দেখতে পেলাম। ততক্ষণে তাহিয়া ঘুম থেকে উঠেছে। তাহিয়াকে বললাম, ‘দেখো সামনের জায়গাটা নিচু কিন্তু সমুদ্রের পানি আমাদের উচ্চতায় আছে। তবুও স্থলভাগে এসে পড়ছে কি অদ্ভুত ভূগোল তাই না?’ সে-ও খুবই অবাক হলো।

Advertisement

এরপর একসময় পৌঁছে গেলাম ‘মিনামারা রেইন ফরেস্ট’র প্রবেশ দ্বারে। আমাদের সামনে আরও তিনটি গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভেতর থেকে একটি একটি করে গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছিল আর সেটি হিসাব করে একটি একটি গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল। কারণ পার্কিং তখন পুরোপুরি ভর্তি। আমাদের সময় দায়িত্বরত নারী বললেন, ‘তোমাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে কারণ পার্কিং ফুল। ভেতরে গেলে দেখবে পার্কিংয়ের পাশেই টিকিট কাউন্টার। সেখান থেকে সারাদিনের জন্য একটি বারো ডলারের টিকিট কিনে নিও, ব্যাস হয়ে গেল। এরপর তোমরা রেইন ফরেস্ট বা ঝরনাতে হাঁটাহাঁটি করতে পারবে। আমরা খুবই দুঃখিত যে, আমাদের রেস্তোরাঁটি কোভিডের জন্য আপাতত বন্ধ রয়েছে।’ তাকে পার হয়ে আরও একটু এগিয়ে যেতেই আরও একজন নারী আমাদের দেখে বললেন, ‘হ্যাপি ফাদারস ডে। তোমরা খুবই ভালো দিনে এসেছো। এখানে একটু অপেক্ষা করো, ভেতর থেকে একটি গাড়ি বের হলেই তোমাদের ঢুকতে দেবো।’ একটু পরেই পরপর তিনটি গাড়ি বেরিয়ে এলো। তিনি বললেন, ‘এবার তোমরা ঢুকে পড়।’ আমরা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পার্কিংয়ে ঢুকে পড়লাম। গাড়ি পার্কিং করে একটি টিকিট নিয়ে এসে বনেটে রেখে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। আমার কাঁধে ব্যাকপ্যাক আর সবার আগে রায়ান তারপর আমি আর তাহিয়া। রায়ানকে সব সময়ই সবার আগে যেতে দিতে হবে। না হলে চিৎকার করে আমাদের যাওয়া পণ্ড করে দেবে। প্রবেশপথের বা পাশেই রেস্তোরাঁ আর তার নিচের তলায় প্রসাধন কক্ষ। আর বা দিকে আরও একটু নেমে গেলে গাছে ঢাকা ছায়া সুনিবিড় পিকনিক স্পট। এখন যেহেতু রেস্তোরাঁ বন্ধ। তাই অনেকেই খাবার নিয়ে এসে পিকনিক স্পটে বসে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিচ্ছেন। আমরা রেস্তোরাঁকে পাশ কাটিয়ে বনে প্রবেশ করলাম। বনে প্রবেশের মুখে তীর চিহ্ন দিয়ে দেখানো আছে কোন দিকে যেতে হবে। তাহিয়া ভুল করে শেষ থেকে শুরু করলো। অবশ্য এতে আমাদের তেমন কোনো সমস্যা হলো না। কারণ পুরো ওয়াকটা একটা লুপ। আপনি যেদিক দিয়েই যান না কেন, আবার শুরুতেই ফিরে আসবেন। মূল রেইন ফরেস্ট ওয়াকের লুপটা এক দশমিক ছয় কিলোমিটার আর মূল লুপ থেকে একটি শাখা বেরিয়ে গেছে এক দশমিক তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। যেটা শেষ হয়েছে একটি সুন্দর ঝরনায় গিয়ে। তার মানে আপনাকে পুরো ওয়াকটা শেষ করতে হলে মোট চার দশমিক দুই কিলোমিটার হাঁটতে হবে।

মূল লুপটার গ্রেড হলো তিন আর ঝরনায় যাওয়ার ওয়াকটার গ্রেড হলো চার। এখানে বলে রাখা ভালো, গ্রেড যত বেশি হবে হাঁটাটা তত কঠিন হবে। গ্রেড আসলে রাস্তার স্লোপের সাথে সম্পর্কিত। গ্রেড বেশি মানে আপনাকে বেশ উঁচু স্লোপ দিয়ে হাঁটতে হবে। আমরা যেহেতু উল্টো দিক দিয়ে এসেছি। তাই আমাদের সামনে আগে পড়লো ঝরনায় যাওয়ার শাখা রাস্তাটা। আমরা সেদিকে হাঁটা শুরু করলাম। কিছুদূর যাওয়ার পর তাহিয়া ক্লান্ত হয়ে গেল খাড়া রাস্তায় হাঁটার কারণে। কিন্তু রায়ানের কোনো ক্লান্তি নেই। সে দৌড়ে দৌড়ে একটি করে বাঁক পার হচ্ছিল। প্রত্যেকটি বাঁকের শেষে একটি করে বেঞ্চ রাখা আছে বসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। আমি তারই একটিতে বসিয়ে দুজনকে ব্যাকপ্যাক থেকে কেক আর কোক বের করে খাইয়ে দিলাম। বললাম, ‘বেশি খেও না। তাহলে আবার হাঁটতে বেশি কষ্ট হবে।’ একটি বেঞ্চে দেখলাম তাহিয়ার বয়সী এক মেয়ে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। পাশে তার বাবা দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের দেখে আমরা বললাম, ‘আর কতদূর?’ মেয়েটি বলল, ‘তোমরা সবে অর্ধেক এসেছো।’ বাবাটি বললেন, ‘তুমি যাওয়ার সময় বা পাশে পায়ের কাছে খেয়াল করে দেখো খুবই ছোট স্কয়ার আকারের বাক্সে মাইলেজ দেওয়া আছে।’

আমরা আবারও হাঁটা শুরু করলাম। হাঁটার রাস্তা থেকে গাছ-গাছালির ফাঁক-ফোকর দিয়ে অন্যপাশের পাহাড়ের গায়ের সবুজ দেখা যাচ্ছে। আর দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ঝরনা। অবশ্য আমরা তখনো ঝরনার টিকিটার দেখা পাইনি। কারণ সেটি অনেক নিচে অবস্থিত। আমি তাহিয়াকে বললাম, ‘এখানে পুরো পাহাড়টা সবুজে ঢাকা।’ শুনে তাহিয়া বলল, ‘রেইন ফরেস্ট তো তাই সব সময়ই কোনো না কোনো গাছপালা জন্মাতে থাকে মনে হয়।’ আমি কান পেতে একধরনের শব্দ শুনতে পেয়ে বললাম, ‘বৃষ্টি শুরু হলো না-কি?’ তাহিয়া বলল, ‘না, আসলে এখানে সব সময় এমন শব্দ হয় বলেই হয়তো এ বনের এমন নামকরণ।’ রেইন ফরেস্টের গাছগুলো যেমন বয়স্ক; ঠিক তেমনি অনেক উঁচু। আর সেইসব উঁচু গাছের গায়ে আবার বাসা বেঁধেছে অনেক পরগাছার ঝাড়। এ পরগাছাগুলোর বিশেষত্ব হলো এগুলো অনেকটা আঠার মতো গাছের গায়ে লেগে আছে আর সেখান থেকে গাঢ় সবুজ পাতা বেরিয়ে ছোট ঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়াও অনেক লতা গাছের মাথা অবধি চলে গেছে। লতাগুলো এতোই বয়স্ক যে, দেখে আলাদা গাছ বলে ভ্রম হয়। অনেকগুলো লতা আমাদের হাঁটার রাস্তায় ঝুলেছিল। আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে লতা ধরে ঝুলে টারজানের মতো ভঙ্গি করে ছবি তুলে নিলাম।

এভাবে চলতে চলতে একসময় আমরা ঝরনার কাছে পৌঁছে গেলাম। হাঁটার সময় ভাবছিলাম, এতো কষ্ট করে হাঁটছি কিন্তু ঝরনাটা যদি সুন্দর না হয়। তাহলে সব পরিশ্রমই মাটি হয়ে যাবে। ঝরনার কাছে যাওয়ার পর আমাদের প্রাণটা জুড়িয়ে গেল। একে তো ঝরনার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, অন্যদিকে ঝরনার পানির কারণে সেখানকার শীতল পরিবেশ। তাহিয়া মুখ দিয়ে নিশ্বাস বের করে বলল, ‘বাবা দেখো, শীতকালের মতো সাদা ধোঁয়া বের হচ্ছে মুখ থেকে।’ তাহিয়ার দেখাদেখি রায়ানও ধোঁয়া বের করে আমাকে দেখালো। ঝরনাটা অনেক উঁচু থেকে পড়েছে। দুপাশে আবার উঁচু গাছ। সেই গাছের মাথায় থাকতে হলে আপনাকে পুরোপুরি ঘাড় কাত করতে হবে। এতক্ষণ হাঁটার সময় আমরা কোনো আকাশ দেখিনি। ঝরনার ওখানে একটি ছোট গোলাকৃতি আকাশের দেখা পেলাম। ঝরনার পানিতে নামা নিষেধ। আমরা তাই সামনে দাঁড়িয়ে একজনকে দিয়ে ছবি তুলে নিলাম। ঝরনার ঠিক বা পাশেই একটি লুকআউট। সেখানে দাঁড়ালে নিচের প্রবাহটা দেখা যায়। ঝরনাটা পাহাড়ের ফাঁক গলে ঘুরেঘুরে অনেক নিচে গিয়ে পড়েছে। সেদিকে তাকালে শিউরে উঠতে হয়।

Advertisement

ঝরনাটি এতই সুন্দর যে, আমরা আর ফিরতে চাইছিলাম না। কিন্তু আমাদের ফিরতে হবে। ঝরনার ওয়াকের মাঝপথে এসে লুৎফা ভাবিদের সাথে দেখা হয়ে গেল। তারাও সেদিন গেছেন সপরিবারে। লুৎফা ভাবি বললেন, ‘ভাই, আর কতদূর?’ আমি বললাম, ‘আপনারা কঠিন রাস্তাটা পার করে এসেছেন। একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার শুরু করেন।’ তাদের একটু পেছনেই ভাইয়াকে দেখলাম ছোট বাচ্চাটাকে স্টলারে নিয়ে এগিয়ে আসছেন। ভাইয়াকে দেখেই বললাম, ‘হ্যাপি ফাদারস ডে।’ শুনেই তিনি হেসে কুটিকুটি। মানুষটাকে আমি কখনো গম্ভীর মুখে দেখিনি। আমরা ঝরনার লুপ থেকে বেরিয়ে মূল লুপে প্রবেশ করলাম। মূল লুপটা আরও বেশি সুন্দর। এখানে খাড়া রাস্তা নেই। উপরন্তু প্রায় পুরো রাস্তাটাই পাটাতনের, তাই হাঁটা সহজ। আর বাড়তি আনন্দের উপকরণ হিসেবে আছে দুটো ঝুলন্ত সেতু। পায়ের নিচ দিয়ে কাকচক্ষু জলের ঝরনা বয়ে চলেছে কুলকুল শব্দে আর মাথার উপর সবুজের বেষ্টনি। সে এক অতিপ্রাকৃত অনুভূতি।

আগেই বলেছিলাম, এখানে পাহাড়ের গায়ের পাথরগুলো পর্যন্ত সবুজ। পাথরের গায়েও একধরনের সবুজ শ্যাওলা জন্মে, সেগুলোকে সবুজের রূপ দিয়েছে। তাহিয়াকে সেতুগুলোর উপর দাঁড় করিয়ে ছবি তুলে নিলাম। আর রায়ান তো দৌড়ে দৌড়ে সেতুগুলো পার হচ্ছিল। একটি সেতুর উপর এসে দোল দিয়ে আবার আমাদের ভয়ও দেখানোর চেষ্টা করল। সেতুর উপর থেকে নিচে ঝরনার কাকচক্ষু জল দেখে তাহিয়া বলল, ‘বাবা, আমি এতো পরিষ্কার পানি এর আগে দেখিনি।’ সেদিকে তাকিয়ে আমাকেও স্বীকার করতে হলো, আসলেই পানি অনেক পরিষ্কার। একেবারে তলা পর্যন্ত দেখা যায়। এভাবেই একসময় আমাদের হাঁটা শেষ হলো। ফিরে এসে প্রসাধন কক্ষে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আমরা আবারও একটু খাওয়া-দাওয়া সেরে নিলাম।

এবার ফেরার পালা। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল, আরও কিছুক্ষণ থাকতে পারলে ভালো হতো। আসলে এসব জায়গায় হাঁটার চেয়ে দৃশ্য উপভোগ করাটাই জরুরি। আপনি যত বেশি দৃশ্য উপভোগ করবেন; ততবেশি জায়গাটির প্রেমে পড়ে যাবেন। এখানে কিছু কথা বলে রাখা জরুরি। জায়গাটিতে মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই। তাই সেটি পরিবার-পরিজনকে আগে থেকেই জানিয়ে রাখা ভালো। আর এখানে আসার উপযুক্ত সময় শীত ছাড়া যেকোনো সময়। তাহলে পরিপূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। আপনিও চাইলে নাগরিক কোলাহল থেকে একেবারে প্রকৃতির সুনিবিড় কোলে একটি দিন পার করে আসতে পারেন। আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, আপনি প্রকৃতিপ্রেমী না হলেও সবুজের এ স্পর্শ আপনার ভালো লাগবেই। একটি দিনের জন্য হলেও নাগরিক ক্লান্তি থেকে অনেক দূরে চলে যাবেন। বারবারই মনে হবে, জীবনটা এমন সহজ হলেও পারতো।

লেখক: অস্ট্রেলিয়ার সিডনি প্রবাসী।

এসইউ/এএ/এমএস