লাইফস্টাইল

কেমন হবে এবারের ঈদের কেনাকাটা?

ঈদ আসে আনন্দের বার্তা নিয়ে। ঈদ মানেই তো খুশি! বছর ঘুরে আবার ঈদ এসেছে। কিন্তু আনন্দ? নেই। আনন্দের বদলে জায়গা করে নিয়েছে একরাশ দুশ্চিন্তা। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছে পুরো পৃথিবী। আক্রান্ত হয়ে ধুঁকছেন অসংখ্য মানুষ। এমন দিনে আনন্দের কথা চিন্তা করা যায়? তবু পৃথিবীর নিয়মে ঈদ এসেছে। আমরা তাকে কীভাবে বরণ করবো? অনেক জায়গায় মার্কেট ও শপিং মল খুলে দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ও মানুষেরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেনাকাটা করতে যাওয়ার কারণে আবার অনেক জায়গায় বন্ধও করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে ঈদের পোশাক কেনা কতটা জরুরি?

Advertisement

পোশাক নাহয় না-ই কিনলেন: আপনার ঈদের পোশাক কেনার মতো সামর্থ্য আছে তার মানে ঘরে আপনার পরার মতো পোশাকও নিশ্চয়ই আছে। এখন যেহেতু বাইরে বের হতে হয় না তাই খুব বেশি পোশাকের দরকারও নেই। সামনে আরও কঠিন সময় আসতে পারে। তাই এখনই হিসেব করে খরচ করা শিখুন। এখন আসলে ঈদের পোশাক পরে আনন্দ করার মতো পরিস্থিতি নেই। ঈদের নামাজ হলেও কোলাকুলি হবে না, আত্মীয়-পরিজন কেউ কারও বাড়িতে বেড়াতে যেতে পারবে না। এই ঈদে তাই পোশাকের টাকাটা নাহয় খরচ না-ই করলেন! তারপরও যদি একান্তই কোনোকিছু কেনার প্রয়োজন অনুভব করেন তবে অনলাইনে কেনাকাটা করুন।

ঈদের খাবার: ঈদ মানে শুধু সুন্দর সুন্দর পোশাকই নয়, মজাদার সব খাবারও। কিন্তু এই সময়ে খাবারের ক্ষেত্রেও হতে হবে সংযত। আপনারই আশেপাশে হয়তো অনেকেই তিনবেলা খেতে পাচ্ছেন না, তাদের দিকটাও ভেবে দেখতে হবে। বিলাসী খাবার এই সময়ে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। তাই বলে ঈদের দিনেও যে একেবারে সাদামাটা খাবার খাবেন তা বলছি না। আগে যদি সাত-আট পদ রাঁধতেন, এবার তবে দুই-তিন পদেই রান্না সারুন। সকালে মিষ্টান্ন, দুপুরে পোলাও-মাংস খেতেই পারেন। কিন্তু এমনকিছু করতে যাবেন না যা এই সময়ে দৃষ্টিকটু মনে হয়। খাবারের জন্য ততটুকুই কেনাকাটা করুন, যতটুকু না করলেই নয়।

সহযোগিতার হাত: ঈদ মানে কোনো ভেদাভেদ না রাখা। অন্যান্য বছরগুলো কতটা কী মেনেছেন সেই হিসাব না করে বরং এবছরের ঈদটা ভিন্নভাবে উদযাপন করতে পারেন। ঈদের জন্য বরাদ্দ রাখা খরচের টাকাটা দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো পাশে দাঁড়াতে পারেন। সেজন্য আপনাকে খুব বেশি দূরে যেতে হবে না। আপনার বাসার গৃহকর্মী, দরিদ্র আত্মীয়, ভবনের কেয়ারটেকার- এমন পরিচিত মানুষগুলোর দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। ঈদের কেনাকাটা না করলেও আপনার তেমন কোনো ক্ষতি হবে না কিন্তু ওইটুকু সাহায্যেই তাদের অনেক উপকার হবে।

Advertisement

শিশুর কেনাকাটা: এটা সত্যি যে শিশুরা অবুঝ। আবার একথাও মিথ্যা নয় যে শিশুরা বড়দের দেখেই শেখে। তাই শিশুকে তার মতো করে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন। কেন এই ঈদে কেনাকাটা করা ঠিক হবে না সেটিও বুঝিয়ে বলুন। শিশুকেও দানের প্রতি উৎসাহী করুন। তাতে সে মানবিক হয়ে উঠতে পারবে।

পশু-পাখির খাবার: অসহায় মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিদের পাশেও দাঁড়ান। রাস্তায় থাকা কুকুর-বিড়ালদের খাবারের দায়িত্ব নিতে পারেন যদি সামর্থ্য থাকে। এখন প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকার কারণে ওদের খাবারের অভাব হচ্ছে। এই সময়ে ওদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে আমাদেরই। সাধ্য অনুযায়ী ওদের জন্য খাবার পৌঁছে দিন।

এইচএন/জেআইএম

Advertisement