জাগো জবস

কর্মীদের চাকরি বাঁচাতে বেতন নেন না ৬ সিইও

বিশ্বের বহু দেশে এখন লকডাউন চলছে। এতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। বহু প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাসায় বসে কাজ করছেন। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান কিছু টাকা কেটে নিয়ে বাড়িতে বসিয়ে রেখেই বেতন দিচ্ছে। তবে বিপজ্জনক হচ্ছে, ইতোমধ্যে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়ে গেছে।

Advertisement

এমন সংকটময় পরিস্থিতিতেও কয়েকজন মালিক (সিইও) সহানুভূতি দেখিয়েছেন। তারা বেতন না নিয়ে কর্মীদের চাকরিটা বাঁচিয়ে রেখেছেন। এমনকি কর্মীদের বেতন থেকে এক টাকাও কেটে রাখেননি। চলুন সেসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের দেখে আসি।

তারা কীভাবে এমন সংকটময় পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন, তা-ই একনজরে দেখে নেওয়া যাক-

রাজীব বাজাজ

Advertisement

বাজাজ অটোর সিইও রাজীব বাজাজ জানান, লকডাউন উঠে গেলে তিনি এবং অন্য উচ্চপদস্থরা কোনো বেতন নেবেন না। পাশাপাশি এ গভীর সংকটময় পরিস্থিতিতে সমাজের এবং দেশের পাশে দাঁড়াতে অন্য কর্মীদেরও বেতন কমানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘অন্যদের বেতন কমানোর আগে নিজের পুরো বেতন কাটতে চাই।’

ভবিশ আগারওয়াল

ক্যাব সার্ভিস ওলা ক্যাবসের সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ভবিশ আগারওয়াল। তিনি আগেই ঘোষণা করেছেন যে, চলতি বছরে তিনি কোনো বেতন নেবেন না। তার বেতন চলে যাবে ওলার ‘ড্রাইভ দ্য ড্রাইভার ফান্ডে’। দিন-রাত পরিশ্রম করে মানুষকে সেবা দিতে ওলার যেসব ড্রাইভার কাজ করেন, তাদের আর্থিক সংকট মেটানোই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

উদয় কোটাক

Advertisement

কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংকের সিইও উদয় কোটাক প্রতি মাসে মাত্র ১ টাকা করে বেতন নেবেন। চলতি মাসে বিবৃতিতে জানান, কর্মীদের যাতে অসুবিধা না হয়। তারা যাতে ছাঁটাইয়ের সম্মুখীন না হয়। তা নিশ্চিত করতে তিনি ১ টাকা নেবেন। বাকি টাকা চলে যাবে সংস্থার ফান্ডে। ব্যক্তিগতভাবেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।

বিজয় শেখর শর্মা

করোনাভাইরাস আসার পর থেকেই কর্মীদের সুরক্ষায় সতর্কতা দেখিয়েছেন মোবাইল পেমেন্ট অ্যাপস পেটিএমের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় শেখর শর্মা। তিনি নিজের কর্মীদের কথা চিন্তা করে এক পয়সাও বেতন নেবেন না বলে ঠিক করেছেন। তিনি ঘোষণা করেন, পরবর্তী ২ মাসের জন্য কোনো বেতন নেবেন না। বেতনের পুরোটাই চলে যাবে কর্মীদের কাছে, যারা আক্রান্ত বা লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

রিতেশ আগারওয়াল

ওয়ো’র প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও রিতেশ আগরওয়াল বিবৃতিতে জানান, চলতি অর্থবছরে এক টাকাও বেতন নেবেন না। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে শুরু করে পরের বছর ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তার বেতন ‘শূন্য’ টাকা। তার আরও কিছু কর্মকর্তাও বেতন না নেওয়ার সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাদের কেউ ২ মাস, কেউ ৬ মাসের বেতন নেবেন না।

দীপ কালরা

মেক মাই ট্রিপের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও দীপ কালরা এক পয়সাও বেতন নেবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়া হবে তার বেতন। পাশাপাশি তিনি নিশ্চিত করেন, কোনো কর্মীও ছাঁটাই করা হবে না। এমনকি ইতোমধ্যে তার বিপন্ন কর্মীদের আর্থিকভাবে সাহায্যও করেছেন।

এসইউ/এমকেএইচ