লাইফস্টাইল

পুরুষেরাই বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ, বলছে গবেষণা

কোনো পরিস্থিতিতেই আত্মহত্যা গ্রহণযোগ্য নয়, বরং বেঁচে থাকার লড়াই জানাটাই আসল। তবু দুঃখজনক হলেও সত্যি, কেউ কেউ এই অস্বাভাবিক পথ বেছে নেয়! হারার আগেই তারা হেরে যায়। ভীতুর মতো আত্মসমর্পণ করে অতল অন্ধকারে ডুবে যায়, আগামীর আলোয় নিজের মুখটি আর দেখতে পায় না! বিশেষ কোনো কারণে মানসিক চাপ থেকে অনেকে নিজের জীবন নিয়ে এমন ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।

Advertisement

অনেক সময় শারীরিক অসুস্থতা মানুষের মন ভেঙে দেয়। দীর্ঘদিন অসুস্থতার কারণে আবার অনেকের মধ্যে বাঁচার ইচ্ছাটুকুও নষ্ট করে দেয়। অনেকে চরম পদক্ষেপও গ্রহণ করেন। আত্মহত্যার মতো ভয়ংকর পথ বেছে নেন। মূলত চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়তে তারা ভয় পান বলেই এটি করে থাকেন। বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ২০ বছরের তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে এমন মানুষদের খুঁজেছেন যারা মানসিক সমস্যা বা শারীরিক সমস্যার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।

পুরো তথ্যই অবশ্য ডেনমার্কে ঘটা ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ সালের। সেখানে ঘটা আত্মহত্যার। যারা আত্মহত্যা করেছিলেন তাদের পুরো অসুস্থতার আদ্যোপান্ত তথ্য সংগ্রহ করেন গবেষকরা। এমন ১৪ হাজারের ওপর মানুষের তথ্য খতিয়ে দেখেন তারা।

গবেষকরা দেখেন শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক অসুস্থতা বা কোনো অঙ্গহানি হলে বেশি ভেঙে পড়েন পুরুষরা। নারীরা তুলনায় অনেক বেশি শক্ত থাকেন।

Advertisement

পুরুষদের মধ্যে অসুস্থতা বা অঙ্গহানির ক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকটাই বেশি বলেই মনে করছেন গবেষকেরা। তুলনায় নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে তেমন একটা পছন্দ করেন না। বরং তারা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করেন।

বাস্তব পরিস্থিতি মানুষকে এমন অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতেই পারে। তার মানে এই নয় যে কেউ সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা না করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন। আর এই দর্শনে পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে নারীরা। তাই শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার মতো ভুল সিদ্ধান্ত না নিয়ে নারীরা লড়ে যেতে পছন্দ করেন।

এইচএন/পিআর

Advertisement