বিনোদন

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যা বললেন মনতাজুর রহমান আকবর

ঢাকাই সিনেমার খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবরের বিরুদ্ধে ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন শান আহমেদ নামের এক নাট্য প্রযোজক। এই নির্মাতার বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়রিও করেন ওই প্রযোজক।

Advertisement

অভিযোগে বলা হয়, ২৬ পর্বের একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ ও প্রচারের খরচের বিষয়ে প্রযোজক শান আহমেদের সঙ্গে মনতাজুর রহমান আকবরের ১৪ লাখ টাকার চুক্তি হয়। নাটক নির্মাণের জন্য নির্মাতার হাতে এই টাকা তুলে দেন প্রযোজক। গত বছর ২৬ ডিসেম্বর (২৬-১২-১৮) নাটকটি প্রযোজকের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও নাটকটি তিনি জমা দেননি।

পরে এই বিষয়টি নিয়ে মনতাজুর রহমান আকবরের বিরুদ্ধে গত ২৮ আগস্ট চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতেও অভিযোগ করেন শান। পরে সমিতির নেতারা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনতাজুর রহমান আকবরকে সম্পূর্ণ নাটক বুঝিয়ে দিতে বলেন। কিন্তু মনতাজুর রহমান আকবরের কাছে এখনো নাটকটি বুঝিয়ে পাননি প্রযোজক।

গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন সাক্ষরিত এক চিঠিতে জানান, বিষয়টি নিয়ে পরিচালক সমিতির কার্যনির্বাহী সভায় বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সুরাহা করার জন্য মনতাজুর রহমান আকবরকে বারবার চিঠি ও মোবাইল ফোনে অবগত করলেও তিনি সমিতির সিদ্ধান্তকে অমান্য করেন। তাই তার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কোনো প্রকার আপত্তি থাকবে না।

Advertisement

এ বিষয়টি নিয়ে মনতাজুর রহমান আকবার জাগো নিউকে বলেন, ‘চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে আমার। নাটকের এই প্রযোকের সঙ্গে যেই সমস্যা তৈরি হয়েছে তা দুই এক দিনের মধ্যেই মিটিয়ে ফেলবো।’

আশির দশকে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক আজিজুর রহমানের সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মনতাজুর রহমান আকবর। পরবর্তীতে নারায়ণ ঘোষ মিতা, মতিন রহমানের সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন। পূর্ণ পরিচালক হিসেবে প্রথম পরিচালনা করেন ‘টাকার পাহাড়’, ‘ন্যায় যুদ্ধ’, ‘চাকর’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, খল নায়ক, বসিরা, ‘বাবার আদেশ’, ‘কুলি’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’, ‘কাজের লোক’, ‘ছোট্ট সংসার’ প্রভৃতি।

এমএবি/জেআইএম

Advertisement