বিনোদন

‘দুই কেজি ওজনের পরচুলা পরে ঘাড় ঘোরাতে পারতাম না’

সাইফ আলী খান একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং প্রযোজক। তিনি অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের স্বামী এবং সারা আলী খানের বাবা। সম্প্রতি নতুন ছবি ‘লাল কাপ্তান’-এ তার নতুন লুক সবার নজর কেড়েছে। নতুন ছবি, ক্যারিয়ার ও সন্তানদের নিয়ে ভারতীয় জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়েছেন এই অভিনেতা। তার সাক্ষাৎকারের চুম্বকাংশ জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

Advertisement

ছবিতে আপনার লুক তো একদম অন্য রকম। আলাদা কোনো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?

-হ্যাঁ, ‘লাল কাপ্তান’-এর লুকটা জবরদস্ত। মাথায় প্রায় দুই কেজি ওজনের পরচুলা পরতে হয়েছিল। ঘাড় ঘোরাতে পারতাম না। তার সঙ্গে ছিল ভয়ানক মেকআপ। সকালে তাড়াতাড়ি উঠে সেটে যেতে হতো। দু’ঘণ্টা লাগত যেতে। রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রামে আমাদের শুটিং হতো। ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় ধৈর্য ধরে শুটিং করেছি। ছবির জন্য তলোয়ার চালানো এবং ঘোড়ায় চড়া শিখেছি। ঘোড়া চালাতে জানতামই। কিন্তু এই ছবির জন্য আরও দক্ষতার প্রয়োজন ছিল।

শুধু লুকের জন্যই কি ছবিটা বাছলেন?

Advertisement

-না। আমার চরিত্র, পিরিয়ড ফিল্ম আর লুক—তিনটে জিনিসই খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। পরিচালক নভদীপ সিংহ এবং প্রযোজক আনন্দ এল রাই যখন প্রথম আমাকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন, তখনই ভালো লেগে গিয়েছিল। একদিকে মুঘল সাম্রাজ্য পতনের মুখে, অন্যদিকে ব্রিটিশরা ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে-এই সময়টার গল্প। আমার চরিত্র একজন বাউন্টি হান্টারের, যে পালানো অপরাধীদের ধরে শাস্তি দেয়। বদলে পুরস্কার পায়।

তৈমুর আপনার লুক দেখে কিছু বলেছিল?

-মুম্বাইয়ে যখন ছবির প্যাচওয়ার্ক করছিলাম, তখন তৈমুর আমাকে দেখে সারাক্ষণ মুচকি হাসছিল। সারা (মেয়ে সারা আলী খান) খুব অ্যাপ্রিশিয়েট করেছিল লুকটা।

সারার ক্যারিয়ার নিয়ে আপনার কী মত?

Advertisement

-আমি খুব খুশি। সারা খুব পরিশ্রমী এবং ফোকাসড। ওর বিনম্র স্বভাবের জন্য সকলেই ওকে খুব ভালোবাসে। এই গুণ সারাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে।

আপনার ছেলে ইব্রাহিমও কি সিনেমা করতে ইচ্ছুক?

-হ্যাঁ। ওর গতিবিধি দেখে তো তাই মনে হচ্ছে (হাসি)!

সম্প্রতি আপনি কারিনা কাপুর খানের রেডিও শো-এ গিয়েছিলেন। কেমন অভিজ্ঞতা হলো?

-বেশ ইন্টারেস্টিং। তবে রেডিও শো-এ ক্যামেরাই বেশি ছিল! আমার নিজেরও সঞ্চালনার কাজ ভালো লাগে। যখনই কোথাও সঞ্চালনার কাজ করেছি, দর্শক আমাকে পছন্দ করেছেন।

আপনার তো ক্রিকেট কমেন্ট্রি (ধারাভাষ্য) করারও ইচ্ছে ছিল?

-সেটা ছোটবেলায়। এখন আর নয়। ছোটবেলায় খেলার ছলে অনেক ক্রিকেট কমেন্ট্রি করেছি। বাবা এতটাই কড়া ছিলেন যে, দীর্ঘদিন আমাদের বাড়িতে টেলিভিশন ছিল না।

প্রযোজনা করছেন। পরিচালনায় আসার ইচ্ছে আছে?

-না। কারণ পরিচালক হতে গেলে অনেক কাজ করতে হবে। অনেক সময়েরও প্রয়োজন। আমাকে পরিবার আর বন্ধুদেরও সময় দিতে হয়।

এসআর/পিআর