লাইফস্টাইল

ওষুধ ছাড়াই গ্যাসের সমস্যা কমাবে এই ৭ খাবার

নাগরিক ব্যস্ততার এই জীবনে নিজের দিকে তাকানোর সময় কোথায়! কাজের পেছনে ছুটতে গিয়ে আমরা ভুলে যাই নিজের খেয়াল রাখতেই। আর তাইতো একেকদিন একেক সময়ে খাওয়া, কখনো বা না খেয়েই থাকা, দীর্ঘক্ষণ পেট খালি রাখা কিংবা রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে পেট ভরানো- এসব নানা কারণেই হানা দেয় গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা।

Advertisement

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচতে ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন বেশিরভাগ মানুষই। তাতে সাময়িক মুক্তি মিললেও দীর্ঘ সময় ধরে ওষুধ খেতে থাকলে আরও নতুন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চেষ্টা করুন ঘরোয়া উপায়ে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে। সেজন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এসব খাবার-

কলা: পটাশিয়ামের সাহায্যে গ্যাসের সমস্যা কমাতে পারে কলা। প্রতিদিন ফ্রুট সালাদে কলা রাখুন। সকালের নাস্তায়ও রাখতে পারেন কলা।

ঠান্ডা দুধ: ক্যালশিয়াম শরীরের অম্ল শুষে নিতে অনেকটা সাহায্য করে। তাই গ্যাসের সমস্যায় ঠান্ডা দুধ খান। গরম দুধ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। শরীরে সহ্য না হলে গরম দুধ গ্যাসের সমস্যা বাড়ায়। কিন্তু দুধ ঠান্ডা হলে সেই সমস্যা তো থাকেই না, বরং গ্যাস্ট্রাইটিসের ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে।

Advertisement

ডাবের পানি: গ্যাসের সমস্যা কাটাতে ডাবের পানি হতে পারে ভালো বিকল্প। কারণ পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের অন্যতম প্রাকৃতিক খনি এই ডাব। চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন সকালে বা দুপুরে খাওয়ার পর একটি ডাবের পানি খেলে এর ক্ষারীয় ভাব হজম সমস্যাকে যেমন দূরে রাখে, তেমনই পেট ঠান্ডা হয়।

আদা-পানি: আদা ফোটানো পানি কিংবা আদার রস হজমে সাহায্য করে। আদা কুচি করে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খেলে আরাম মেলে।

দারুচিনি: এক কাপ পানিতে আধ চামচ দারুচিনি গুঁড়া মেশান। সেই পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খান। দারচিনির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গ্যাস-অম্বলকে দূরে রাখে।

জিরা: হজমের সমস্যাকে দূরে রাখে জিরা। শুকনো খোলায় জিরা ভেজে গুঁড়া করে নিন। এবার সেই জিরা গুঁড়া গুলে নিন এক গ্লাস পানিতে। সেই পানীয় খেতে পারেন খাওয়ার পর। বাজারের জিরাপানি নয়, এমন ঘরোয়া উপায়েই রক্ষা পান গ্যাসের কবল থেকে।

Advertisement

লবঙ্গ: প্রতিদিন খাওয়ার পর দু’-তিনটি লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গ্যাসের সমস্যার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। লবঙ্গর রসের প্রভাবে শরীরে হাইড্রক্লোরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ে। ফলে সমস্যা কমে অনেকটাই।

এইচএন/জেআইএম