জাতীয়

গণপিটুনির ভিডিও ধারণ করলেও ব্যবস্থা

ফেসবুকসহ যেকোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ছেলে ধরা’ বা ‘পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে’ এমন গুজবের নিউজ কেউ শেয়ার করলেই তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নুরেআলম মিনা। এ ছাড়া গণধোলাইয়ের ভিডিও ধারণ ও প্রচারকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেট এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রজেক্টে দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা সেতু নির্মাণে অতিরিক্ত লোকবল লাগবে-এমন সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেটাকে বিকৃত করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে কয়েকজন “ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শী” প্রবাসী ছেলে ধরা ও পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে এমন গুজব ছড়ায়। ইতোমধ্যে আমাদের পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এসব গুজবের মূল উৎপত্তিস্থল খুঁজে পেয়েছে।’

গুজব মোকাবিলায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের নানামুখী উদ্যোগের কথা তুলে ধরে পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘গুজব প্রতিরোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার, কমিউনিটি পুলিশিং সভা, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্কুল-মাদরাসায় প্রচার, এলাকায় মাইকিং ও মসজিদে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে এসব প্রচারণার পরেও যারা গুজব ছড়াতে এবং গুজবের দ্বারা সৃষ্ট পরিবেশ কাজে লাগিয়ে গণধোলাইয়ের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। গণধোলাইয়ের ঘটনায় জড়িত সকলকে এমনকি যারা সেসব ঘটনার ভিডিও করছে, সেসব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Advertisement

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে ছেলে ধরা গুজবে পাঁচটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে সাতজনকে। এর মধ্যে দুটি ঘটনা ছিল একেবারেই পরিকল্পিত।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এ কে এম এমরান ভূঁঞা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

এসআর/এমকেএইচ

Advertisement