দেশের শিল্প, সেবা, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ১০ বছর মেয়াদের মাস্টারপ্ল্যান করেছে জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও)।
Advertisement
সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে এপিও’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. শান্তি কানকতানাপর্ন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টারপ্ল্যান ২০২১-২০৩০’ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের হাতে তুলে দেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে শিল্প খাতের অবদান ক্রমেই বাড়ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ৩৫.১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৩৩.৭১ শতাংশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রণিত এ মাস্টার প্লানের বাস্তবায়ন জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এপিও’র সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ১০ বছর মেয়াদের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বেগবান হবে। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা করে বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প, সেবাসহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা জোরদার হবে।
Advertisement
১০ বছরব্যাপী এ মাস্টারপ্ল্যান বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে তা উন্নয়নের কৌশল হিসেবে প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৯৯৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের শ্রম উৎপাদনশীলতা ৩.৮ শতাংশ হারে বেড়েছে। এক্ষেত্রে এপিও সদস্যভুক্ত এশিয়ার ২০টি দেশের গড় প্রবৃদ্ধির হার ২.৫ শতাংশ। এ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্প খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যের গুণগতমান, প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত হবে।
মাস্টারপ্ল্যানে ২০২১-৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক গড় উৎপাদনশীলতা প্রবৃদ্ধি ৫.৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছে। এর মধ্যে কৃষি খাতে গড়ে ৫.৪ শতাংশ, শিল্প খাতে ৬.২ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৬.২ শতাংশ উৎপাদনশীলতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসআই/এমএআর/এমএস
Advertisement