রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনি দিয়ে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মোবাইল ফোনের ভিডিও ফুটেজ দেখে রোববার রাতে তাদের আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন- জাফর, শাহীন, বাপ্পী।
Advertisement
বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন যুবককে বাড্ডা থেকে আটক করা হয়েছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ভাইরাল হওয়া হৃদয় নামের অভিযুক্ত একজনকে এখনও আটক করা যায়নি।
উল্লেখ্য, শনিবার (২০ জুলাই) সকালে উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে ওই নারীকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন>> রাজধানীতে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নারী নিহত
Advertisement
গতকাল সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালে নিহতের মরদেহ শনাক্ত করেন তার ভাগিনা ও বোন রেহানা। তারা জানায়, নিহতের নাম তসলিমা বেগম রেনু। তার ১১ বছরের এক ছেলে ও চার বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। আড়াই বছর আগে তসলিম উদ্দিনের সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে ছেলেমেয়েকে নিয়ে মহাখালী ওয়ারলেস এলাকায় একটি বাড়িতে থাকতেন তিনি।
নিহতের ভাগিনা নাসির উদ্দিন বলেন, রেনু মানসিক রোগে ভুগছিলেন। চার বছর বয়সী মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য তিনি এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে ঘুরছিলেন। এ কারণেই হয়তো তিনি বাড্ডার ওই স্কুলটিতে যান।
আরও পড়ুন>> ছেলেধরা সন্দেহে নিহত রেনুর আমেরিকা যাওয়া হলো না
এ ঘটনায় শনিবার বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নাসির উদ্দিন। মামলায় বলা হয়েছে, অতর্কিতভাবে ওই নারীকে স্কুলের অভিভাবক, উৎসুক জনতাসহ অনেকে গণপিটুনি দেয়। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আনুমানিক ৪০০ থেকে ৫০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি জড়িত।
Advertisement
এআর/এমএসএইচ