জাতীয়

বছর শেষে ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত, আশাবাদী বেবিচক

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) গাইডলাইন অনুযায়ী ক্যাটাগরি-১ হওয়ার জন্য প্রায় সব ধাপ অতিক্রম করেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

Advertisement

আরও দুটি কারিগরি সমীক্ষার পর এফএএর চূড়ান্ত মূল্যায়ন সম্পন্ন হবে, যাতে সফলতা এলে বেবিচক এফএএর ক্যাটাগরি রেটিং-১ অর্জনে সক্ষম হবে। তখন বাংলাদেশ থেকে সরাসরি নিউইয়র্কে ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব হবে। বেবিচক আশা করছে, অচিরেই এফএএ ক্যাটাগরি-১ অর্জন করতে সক্ষম হবে তারা।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী জিয়াউল কবির বলেন, আগামী তিন মাসে বিশেষায়িত দুটি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে বেবিচককে। এ বছরের শেষদিকে এফএএ থেকে গ্রীন সিগন্যাল আসবে বলে আমরা আশাবাদী।

তিনি বলেন, ভিয়েতনামের এফএএ সব শর্ত পূরণ করে ক্যাটাগরি-১ এ আসতে সময় লেগেছে পাঁচ বছর। বাংলাদেশের লাগবে হয়তো দুই বছর।

Advertisement

এফএএ’র প্রতিনিধি দল কয়েক দফা তাদের মতামত সম্মিলিত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। তাদের প্রতিবেদনে উত্তীর্ণ হলেই নিউইয়র্কে ফ্লাইট চালু করতে পারবে বাংলাদেশ বিমান।

প্রসঙ্গত, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি একটি সংস্থা। সে দেশের বেসামরিক বিমানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর ওপর খবরদারির ক্ষমতা রয়েছে সংস্থাটির। বিমানবন্দর নির্মাণ, অপারেশন, বিমানের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, কর্মী ও বিমানের সার্টিফিকেশন এবং বাণিজ্যিক আকাশযানগুলোর গতিপথ নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষার বিষয়টি তাদের কাজের মধ্যে পড়ে।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, আমরা আশাবাদী যে, নিকট ভবিষ্যতে বেবিচক ক্যাটাগরি ওয়ানে উন্নীত হবে। তখন ড্রিমলাইনারসহ আধুনিক উড়োজাহাজ দিয়ে নিউইয়র্কে ফ্লাইট চালু করতে পারবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনও (আইকাও) ২০১৭ সালে একটি নিরীক্ষা সম্পন্ন করে, যেখানে বেবিচক সেফটির মান ৭৫ শতাংশ অর্জন করে। এর আগে ফ্লাইট নিরাপত্তায় দুর্বলতার কারণে ২০০৯ সালে বেবিচককে দ্বিতীয় ক্যাটাগরির নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্রের এফএএ। ওই সময় ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত হতে কিছু শর্ত দেয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি শর্ত হলো-বেবিচকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত এবং নিজস্ব অর্গানোগ্রাম (জনবল কাঠামো) অনুযায়ী জনবল নিয়োগ। নিজস্ব অর্গানোগ্রামের বিষয়টি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে।

Advertisement

আরএম/জেএইচ/এমএস