দেশজুড়ে

বগুড়ায় ৮৬টি বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ

বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় ৮৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এরমধ্যে ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা। যেসব প্রতিষ্ঠান খোলা আছে, সেখানে শিক্ষার্থীরা পানি পার হয়ে ক্লাস করছে।

Advertisement

শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, বন্যা শেষ হলে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া হবে। আগামী ১ আগস্ট থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২য় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হবে। বন্যার পানি নেমে গেলে ১ আগস্টের আগেই বন্ধ ঘোষিত বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যমুনা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়া এসব এলাকার অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে বন্যার পানি। শিক্ষার্থীরা আসতে পারছে না। বিদ্যালয়ের কাগজপত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিছু স্কুল খোলা থাকলেও বন্যার কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আসতে পারছেন না।

সারিয়াকান্দি চরের স্কুল শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, শিক্ষকরা কষ্ট করে প্রতিষ্ঠানে গেলেও ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না। এছাড়া পানিতে ডুবে যাওয়ার ভয়ে অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্র-ছাত্রী শূন্য হয়ে পড়েছে।

Advertisement

ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জীবন্নাহার বলেন, স্কুলের চারপাশেই তো পানি। ক্লাসরুমেও পানি। শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থীরা আসছে না।

যমুনার চরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে রাস্তা ডুবে গেছে। চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এখন নৌকা। এছাড়াও মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বন্যার কারণে। এমন অবস্থায় তারা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না।

ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, বন্যার কারণে চর এলাকার মানুষ বড় বিপদে আছে। এ অবস্থায় শিশুদের কোনোভাবেই স্কুলে পাঠানো ঠিক হবে না। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে। তাই সংগত কারণেই বন্যা কবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বেগম তহমিনা খাতুন বলেন, বর্ষা মৌসুমে চর এলাকায় এমনিতেই শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। তারপর বন্যা হয়েছে, তাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, কোনো স্কুল প্লাবিত হলে বা শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকি মনে করলে তারা সেটির পাঠদান স্থগিত করতে পারবেন।

Advertisement

লিমন বাসার/এমএএস/পিআর