জাতীয়

ঢাকা-আশুলিয়া উড়াল সড়ক নির্মাণে ৩০০ কোটি টাকার চুক্তি

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের নকশা রিভিউ এবং নির্মাণকাজ তদারকির জন্য ৩০৪ কোটি ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯০ টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী সেতু ভবনে সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে টেকনিকা ওয়াই প্রজেক্টস এস এ স্পেইন উইথ জেভি ধোও অ্যান্ড ডিডিসি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এন্তেনিও রদরিগেজ ক্যাস্তেলিয়ানোস চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

আরও পড়ুন >> ঢাকা-আশুলিয়া উড়াল সড়ক নির্মাণে পরামর্শক নিয়োগ

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে তিনি জানান, বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাপুর-ধউর-বড়আশুলিয়া-জিরাবো-বাইপাইল হয়ে ঢাকা ইপিজেড পর্যন্ত প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে প্রকল্প সহায়তা প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা এবং জিওবি প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা।

Advertisement

মন্ত্রী জানান, প্রকল্পের আওতায় আশুলিয়া এলাকার বিস্তীর্ণ হাওরের জল প্রবাহ অবাধ রাখা, ঢাকা মহানগর ঘিরে সার্কুলার জলপথ এবং পরিবেশ সুরক্ষায় আশুলিয়ায় বিদ্যমান সড়ক বাঁধের পরিবর্তে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চারলেন সেতু নির্মাণ করা হবে।

এক্সপ্রেসওয়ের নিচ দিয়ে বিদ্যমান প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীত করা হবে। নবীনগরে দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় এক কিলোমিটার। সড়কের দুপাশে প্রায় ১৮ কিলোমিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর সঙ্গে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল ও ইপিজেডের যোগাযোগ সহজতর করতে বাংলাদেশ ও চীন সরকার জি-টু-জি ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। শিগগিরই ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হবে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করে এ বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির মূল কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন >> আলোর মুখ দেখছে ঢাকা-আশুলিয়া উড়ালসড়ক প্রকল্প

Advertisement

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু নিয়ে যারা গুজব ছড়াচ্ছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং শাস্তি তাদের পেতেই হবে। তিনি আরও বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর কাজের বাস্তব অগ্রগতি শতকরা ৮১ ভাগ। মূল সেতুর ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৯৩টি সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট একটি পাইল ড্রাইভের কাজও ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে। মূল সেতুর ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩০টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাওয়া অংশে এখন পর্যন্ত স্প্যান এসেছে ২৫টি, যার মধ্যে ১৪টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এখন ২১০০ মিটার দৃশ্যমান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খান, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এইউএ/এমএআর/এমকেএইচ