ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢাল চরের বঙ্গোপসাগর মোহনায় ২টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ২৯ জেলের মধ্যে একটি ট্রলারসহ ২ জনকে জীবিত ও ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
Advertisement
জীবিতরা হলেন- মনির মাঝি (৩০) ও মো. জুয়েল (৩০)। তবে মৃতদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামছুল আরেফিন।
তিনি জানান, গত ৬ জুলাই চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের মনির মাঝির নেতৃত্বে তার ট্রলারে ১৫ জন ও আহমেদপুর ইউনিয়নের ফরিবাদ গ্রামের শাজাহান মাঝির নেতৃত্বে তার ট্রলারে ১৪ জন জেলে পৃথকভাবে ঢাল চরের গভীর সাগরে মাছ শিকার করছিলেন। ওই দিন ভোরে ১৪ জন জেলেসহ শাজাহান মাঝির ট্রলার ও সকালে ১৫ জন জেলেসহ মনির মাঝির ট্রলার ডুবির ঘটনা জানতে পারি। এ ঘটনায় ২৯ জন জেলে নিখোঁজ হন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয়রা তাদের খোঁজে নদী ও সাগরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পায়নি তারা। পরে আজ (বুধবার) ভোরে ও সকালে কক্সবাজার সৈকতের সিগাল পয়েন্ট থেকে চার জন ও ট্রলারের ভেতর থেকে দুই জনসহ মোট ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এছাড়া ট্রলারের মালিক মনির মাঝি ও জেলে মো. জুয়েলকে জীবিত অবস্থায় কক্সবাজারের শৈবাল পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়। তারা এখনও অজ্ঞান অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
Advertisement
এদিকে মনির মাঝির নেতৃত্বে মাছ শিকার করতে যাওয়া ১৫ জেলের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনিসহ ১২ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন- মো. মনির মাঝি (৩০), মো. জুয়েল (৩০) জিহাদ হোসেন (২৫), মাকসুদ (২৮), সেলিম (৩২), বাবুল (৩৫), অলিউদ্দিন (২৭), বেলায়েত হোসেন (৩১), অজিউল্লা (২৭), কামাল (২৬), জাহাঙ্গীর (৩৪) এবং তছির (৩৩)।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন জানান, জীবিতদের নাম-পরিচয় জানা গেলেও মৃতদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা ওই ট্রলারের ১৫ জেলের ছবি সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। সেটি কক্সবাজারে পাঠানোর পর তাদের নাম নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আরও জানান, আহমেদপুর ইউনিয়নের ফরিদাবাদ গ্রামের শাজাহান মাঝির নেতৃত্বে যাওয়া ১৪ জেলের সন্ধান এখনও চলছে। তাদের খোঁজে কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌ বাহিনীসহ স্থানীয় জেলেরা নদী ও সাগরে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এমএমজেড/এমকেএইচ
Advertisement