স্বাস্থ্য

৬ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড এ মাসেই ছাড়িয়ে যাবে!

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি থেকে মে) রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৩২৪। কিন্তু জুনে এক লাফে এর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ গুণ অর্থাৎ ১ হাজার ৭৫০ জনে দাঁড়ায়। চলতি মাসের প্রথম ৮ দিনে ১ হাজার ১৮২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

Advertisement

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। ডেঙ্গু মশার ধরন পাল্টে যাওয়ায় তারা জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে বাসায় চিকিৎসা না দিয়ে দ্রুত হাসপাতাল কিংবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন>> প্রতি ঘণ্টায় হাসপাতালে পাঁচ ডেঙ্গু রোগী

মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় গণমাধ্যমকর্মীরা রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে- মর্মে প্রশ্ন করলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম ডেঙ্গুর এই মৌসুমে জ্বর হলে অবহেলা না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার তাগিদ দেন।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘রোগীদের জন্য বলব, আমরা জ্বর হলে অনেক সময় সাধারণ জ্বর মনে করি। ডেঙ্গু জ্বরও রোগীর কাছে সাধারণ জ্বর বলেই মনে হয়। যেকোনো জ্বরকে তারা যেন সাধারণ জ্বর মনে না করেন, অবহেলা না করেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নেন, ডেঙ্গু পরীক্ষা করেন। যদি পরীক্ষা করে দেখা যায় ডেঙ্গু নেগেটিভ তবেই সাধারণ বা অন্য কোনো জ্বর হতে পারে। ডেঙ্গু পজিটিভ হলে ডেঙ্গুর বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।’

আরও পড়ুন>> রাজধানীতে রোদেও ডেঙ্গু, বৃষ্টিতেও ডেঙ্গু

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার জানান, ১ জানুয়ারি থেকে আজ ৯ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ২৫৬। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ৩৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে মাসে ১৯৩, জুনে ১ হাজার ৭৫০ এবং ৯ জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ১৮২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে এপ্রিলে ২ জন ও জুলাইয়ে একজনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করছে এমন রোগীর সংখ্যা ৬৩৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১৬। ভর্তি মোট রোগীর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, মিটফোর্ডে পাঁচ, শিশু হাসপাতালে একজন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১৯, হলি ফ্যামিলিতে ১৭, বিজিবি হাসপাতালে পাঁচ ও অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ জন।

Advertisement

এমইউ/এমএসএইচ/এমএস