মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশটিতে ফেরত পাঠাতে চায় বাংলাদেশ। আর বাস্তুহারা এ জনগোষ্ঠীকে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে উৎসাহ দেবে চীন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনার জন্য প্ল্যাটফর্ম দিয়ে সহায়তা করবে দেশটি।
Advertisement
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার বেইজিংয়ে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফরের মধ্যে সাইড লাইনে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেন।
বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাখাইন প্রদেশের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমারকে উৎসাহিত করবে চীন। বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের মধ্যে ত্রিদেশীয় বৈঠক আয়োজন করবে চীন। যাতে বাস্তু্চ্যুত মানুষগুলোর প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। এ জন্য প্ল্যাটফর্ম দিয়ে সহায়তা করবে চীন।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সফরের সময়ে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্ব সহযোগিতায় পৌঁছে নিতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বেইজিং। চীনের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য একটি নৈশ্যভোজের আয়োজন করেছেন। যেখানে দুই নেতাই নিজেদের চিন্তাভাবনা মুক্তভাবে আদান-প্রদান করেছেন। দুই দেশের মধ্যকার আলোচনাই দুই দেশের মধ্যে বর্তমান বিশ্বাস ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিছবি।
রোহিঙ্গা সংকট এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখবে বলে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীই ঐক্যমত হোন। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে এ সময়ে জোর দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জেপি/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement